পাবনার ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার (৪ আগষ্ট) সকালে ঈশ্বরদী পৌর শহরের রেলগেট, কাচারীপাড়া ও দাশুড়িয়া গোলচত্ত্বর মোড়ে এসব ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন, শিক্ষার্থী মো. মোকিম হোসেন, স্থানীয় পথচারী রিপন আলী, নজরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। আহত অন্যান্যরা হলেন, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস রুবেল, দাশুড়িয়া বাজারের চা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম, পথচারী মিঠু, ঈশ্বরদী পৌর এলাকার মামুন হোসেনসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়। এসময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মোহনা টিভির পাবনা প্রতিনিধি হোজ্জাতুল্লাহ হিরা, মাই টিভির ঈশ্বরদী প্রতিনিধি আলিফ হাসান আঘাত প্রাপ্ত হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঈশ্বরদীর সমন্বয়ক ও ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন জানান, পূর্ব ঘোষিত এক দফা দাবী আদায়ের কর্মসূচিতে যোগদানকালে দাশুড়িয়া, সলিমপুর সাহাপুর, পাকশীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাধারন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঈশ্বরদী পৌর কাচারীপাড়া এলাকায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবির হাসান শৈশবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারন শিক্ষার্থীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০-১২জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রিপন আলী জানান, সকাল থেকেই রেলগেট এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। আন্দোলনককারীরা শহরের গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে মোড় থেকে শ্লোগান দিয়ে রেলগেটে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করে। পথে মধ্যে হামলাকারীরা শহরের কাচারিপাড়ার বাড়িতে ঢুকে তার পায়ে গুলিবিদ্ধ করে তাকে আহত করে। হামলাকারীরা তার বাড়িঘর ও মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে বলেও অভিযোগ করেন রিপন। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, এক দফা দাবীতে আন্দোলনকারীরা রাজপথে অবস্থান নিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সামান্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশের কঠোর অবস্থানে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানা নেই বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।