পাবনা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপু জামে মসজিদ সংলগ্ন লালনের আখড়ার নামে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে অভিযোগ দেওয়ার পর পরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে এর সত্যতা পেয়েছেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আড়াই শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগের ছায়ালিপি হতে জানা গেছে, সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে বায়তুল হামদ জামে মসজিদ সংলগ্ন আ: সাত্তার লালনের আখড়ার নামে আশ্রম তৈরি করে মাদক সেবন-বিক্রি ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকল্যাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
মসজিদ সংল্গন আখড়া হওয়ায মুসল্লিদের নামাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী ও ফজলুর রহমান বলেন, প্রতিদিন রাতে ও দিনে উচ্চস্বরে গান-বাজনা বাজিয়ে মুসল্লিদের নামাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এতে অতিষ্ঠি হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী। আমরা এ থেকে পরিত্যান চাই।
রামচন্দ্রপুর বায়তুল হামদ জামে মসজিদ এর সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ বলেন, মসসজিদে নামায চলা অবস্থায় উচ্চসরে গান বাজিয়ে আ: সাত্তার গংয়েরা নামাজে ব্যাঘাত সৃষ্ঠি করে আসছে প্রতিনিয়ত।
এতে মুসল্লিরা অতিষ্ঠ হয়ে প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন।
বায়তুল হামদ জামে মসজিদ এর সভাপতি সাজ্জাদুজ্জামান পান্না বলেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আ: সাত্তার লালনের আখড়ার নামে গাঁজা সেবন ও গাঁজা সেবস্যা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন।
গ্রামবাসী বিভিন্ন সময় এ অসামাজিত কায্যকল্যাপ বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি গ্রামবাসীকে হুমকি দেন। বিষয়টি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবকে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে এটি বন্ধ করার আশ^সা দেন গ্রামবাসীকে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। প্রাথমিকভাবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।