পাবনার ঈশ্বরদীতে অল্প পরিসরে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে শহরের ফতেমোহাম্মদপুর হিন্দুপাড়া শ্রী শ্রী রাধা গৌবিন্দ মন্দিরে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মাধ্যমে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রথের দড়ি টেনে উৎসবের সূচনা করেন। এসময় প্রধান অতিথি ইছাহক আলী মালিথা বক্তব্যে বলেন, শহরে আমরা সব ধর্মের মানুষ মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান একসঙ্গে ভাই-ভাই হিসেবে বড় হয়েছি। এটি সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। কিন্তু আমাদের এই সম্প্রীতি অন্যান্য জায়গার তুলনায় আরও বেশি। এখানে কখনো কোনো ভেদাভেদ ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না, কেউ চেষ্টা করলেও সেটা নষ্ট করতে পারবে না। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র ও উৎসব সবার। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, সহ-সভাপতি খোন্দকার মাহাবুবুল হক দুদু, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য স্বপন কুমার কুন্ডু, দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ঈশ্বরদী প্রতিনিধি শেখ মেহেদী হাসান, পৌর প্রকৌশলী প্রবীর বিশ্বাস, ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার সাহা, সুব্রত কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ ইসকন মন্দিরের সভাপতি পবিত্র গৌড় দাস প্রমুখ। ঈশ্বরদী পৌর শ্মশান পরিচালনা কমিটির প্রচার সম্পাদক সৌরভ কুমার দেবনাথ (কৃষ্ণ) বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তাঁর অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। পরে রথ নিয়ে শোভাযাত্রাটি শ্রী শ্রী রাধা গৌবিন্দ মন্দিরে থেকে শুরু হয়ে বেনারসি তাঁতপল্লির গেটে গিয়ে শেষ হয়। এরপর উৎসবে উপস্থিত থাকা ভক্তের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এতে উপজেলার বিপুল সংখ্যক সনাতন ধর্মাবলাম্বী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।