সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ধুবিল মেহমানশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ধুবিল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি মাস্টারের বিরুদ্ধে তার পছন্দের ২টি প্রার্থীর কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে,২২ জুন শনিবার অত্র প্রতিষ্ঠানে ২ টি পদে নিয়োগের দিন নির্ধারণ করা হয়।
একটি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন হাসানের নিকট হতে ৫ লাখ টাকা নিয়েও নিয়োগ পত্র দেয়নি সভাপতি মনি মাস্টার।
রেজাউল করিম কায়েস নামে এক পরিক্ষার্থীকে আবেদন পত্র বাতিল করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে জগনাথপুর গ্রামের আব্দুুল কাদের মাস্টারের ছেলে শরিফুল ইসলাম এর নিকট হতে ১২ লাখ টাকা ও
অফিস সহকারী পদে উত্তর পাড়া ভর-মোহনী গ্রামের বাহাজ মাস্টারের ছেলে ফিরোজ এর নিকট হতে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাহা সম্পূর্ন অবৈধ।
সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন হাসান অভিযোগ করে বলেন,প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গোপনে নিয়োগের বিষয়ে কোনো আলোচনা বা মিটিং না করে গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। আমার নিকট হতেও মোটা অংকের অর্থ চেয়েছিল। আমি ৫ লাখ টাকা দিয়েও নিয়োগের দিন তারিখ নির্ধারণ করলেও আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি।
এব্যপারে ধুবিল মেহমানশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন নিয়োগবিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে।কোনও প্রকার অর্থ লেনদেন করা হয় নাই।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি মাষ্টার জানান,নিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কোনো অর্থের লেনদেন হয়নি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন,এ বিষয় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।