বেলাল হোসাইন,(খাগড়াছড়ি):
খাগড়াছড়ির রামগড়ে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যাবহার করে ২০দিন পর বহুল আলোচিত ফারুক হত্যার মূল আসামীকে আটক করেছে রামগড় থানার পুলিশ।গত১১ জুলাই রামগড় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কালাডেবা এলাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী উপেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে মৃদুল কান্তি ত্রিপুরা (১৮)ওরপে আকাশকে কালাডেবা বাজার থেকে আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ।
আসামী আটকের পর রামগড় থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গড় ১১ জুলাই রাত আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয় কালাডেবাবাজার থেকে ভিকটিম ফারুক বৃষ্টি জনিত কারনে মাথায় ছাতা দিয়ে পায়ে হেঁটে একা একা নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় বর্ণিত আসামী সাথে রাস্তায় দেখা হয়।উল্লেখ্য যে হত্যার ঘটনার কয়েকদিন আগে আসামী মৃদুল কান্তি ত্রিপুরা কালাডেবা কাউন্সিলর সড়কের রাস্তার ব্রীজের উপর সন্ধ্যায় বসে দুই পা মেলিয়া মোবাইল ফোনে কথা বলছিল এই সময় ওমর ফারুক এর পায়ের সাথে তার পায়ের ধাক্কা লাগে। এসময় আমামী মৃদুল সরি কাকা বললেও ফারুক উত্তেজিত হয়ে আসামী মৃদুলের গালে সজোরে থাপ্পড় মারে বেয়াক্কেল বলিয়া গালিমন্দ করে।বর্ণিত কারণে আসামী মৃদুল মানসিক ভাবে ক্রোধান্বিত হয়ে পরে সে সুযোগ খুঁজতে থাকে ফারুককে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্যে।এরই ধারাবাহিকতা ঘটনার দিন ওমর ফারুক কালাডেবা বাজার থেকে রাত ১০.১০ঘটিকায় বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।ঐ সময় আসামী মৃদূল বাজার হইতে ফলো করিয়া ভিকটিমের পুর্বে সে কাউন্সিলের সড়কের ব্রীজের উপর অবস্থান নেয়।এবং একটি কাঠের চেলি সংগ্রহ করিয়া পুর্বেই সে সেখানে অপেক্ষা করতে থাকে।অনুমান ৫ মিনিট পরে ফারুক গুটি গুটি বৃষ্টির মধ্যে মাথায় ছাতা দিয়ে হেড ফোনে মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় বর্ণিত ব্রীজ পার হইলে আসামী মৃদুল ফারুকের পিছু নেয় কিছুক্ষণের মধ্যে ভিকটিম ফারুক আলোচ্য মামলার ঘটনাস্থল বর্ণিত সড়কের আইয়ুব আলি ভুঁইয়ার পারিবারিক কবস্থানের উপর সজোরে আঘাত করে গুরতর রক্তাক্ত জখম করে ফারুককে অসচেতন করিয়া তাহার হাতের ১ টি শাওমি মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে যায়।বর্ণিত আঘাতে ফারুকের মাথায় মারাত্মক জখম হয়ে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকে।পরবর্তীতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মৃত্যু বরন করে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে দীর্ঘ ২০দিন পর অক্লান্ত পরিশ্রমে নিরবিচ্ছিন্ন তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ প্রমানে এবং পুলিশ সুপারগনের সঠিক দিকনির্দেশনায় গতকাল ১ জুলাই বর্ণিত আসামীকে কালাডেবা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।আসামির নিকট ভিকটিম ফারুকের ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত আসামি অত্র মামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রধান করেছে।
এদিকে ফারুক হত্যার আসামী আটক হওয়ার খবর শুনে আসামীর সর্বচ্চো শাস্তির দাবিতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।নিহত ফারুকের চাচাতো ভাই রিয়াদ জানান, আজ সকালে ঘটনার আরো অধিকতর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানব বন্ধন করার কথা থাকলেও পুলিশের আশ্বাসে মানব বন্ধন থেকে সরে আসে এলাকাবাসী।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন তার নেতৃত্বে গত ২০ দিনের পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আবদুল আজিজ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামগড় সার্কেল সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ এর তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত )মনির হোসেন এর সহায়তা এসআই অজয় চক্রবর্তী আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যাবহার করে রামগড় কালাডেবা বাজার থেকে আসামি মৃদুল কান্তি ত্রিপুরাকে আটক করতে সক্ষম হয়।তিনি আরও জানান আসামির বিরুদ্ধে রামগড় থানায় গত ১১ জু্লাই ৩০২/৩৪প্যানেল কোড এ মামলা হয়েছে।মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে।তিনি আরো জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মৃদুল কান্তি ত্রিপুরা আকাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সাংবাদিকদের সাথে কথার প্রসঙ্গে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরো জানান,পবিত্র ঈদের দিনে সম্পূর্ণ ক্লু হীন চাঞ্চল্যকর হত্যার আসামী আটকের খবর ঈদের আনন্দকে আরো বহুগুণ বাড়িযে দিয়েছে।