এ বছর মধু উৎপাদনের এক সম্ভবনাময় ফলাফল আশা করছে চলনবিলের মৌচাষিরা। সবকিছু ঠিকঠাক ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মধু উৎপাদনে চরম সফলতা আশা করছেন তারা। পাবনা,নাটোর ও সিরাজগঞ্জের বৃহৎ এলাকা নিয়ে গঠিত চলনবিল। চলনবিলের মাঠ এখন মাঘি সরষে ফুলের সমারহ।যেদিকে চোখ যায় হলদে স্নিগ্ধতায় নজর কারা সৌন্দর্যের সু-বিশাল আস্তরন।
প্রকৃতির এই সৌন্দর্যে ঘেরা সরষে ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় পার করছে খামারি মৌচাষিরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়েগেছে মধু সংগ্রহের কাজ।মৌচাষিরা আশা করছেন চলতি মৌসুমে প্রায় পাঁচ লক্ষ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ করতে পারবে তারা। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। জমি থেকে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে এলাকার চাষিরা উৎপাদনকৃত ফসল হিসেবে মাঘি সরিষার বিজ ছিটিয়ে দেন। মাঘমাসে সরিষা তুলে আবার বরো ধানের জন্য জমি প্রস্তুত করেন তারা। প্রতিবছর অগ্রাহায়ন মাসের শেষ দিকে সরিষা ফুল ফুটতে থাকে।
পৌষ-মাঘ মাসে চলনবিল এলাকার চাটমোহর, ভাঙ্গুরা,বড়াইগ্রাম,তারাশ,সিংরা
চাটমোহর নিমাইচড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর মাঠে মৌ বাক্স স্থাপন করেছে সাতক্ষীরার কালিগন্জ উপজেলার শ্রীধলা ইউনিয়নের শাহিনুর রহমান।তার সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় প্রায় ৬০টির মত মৌবক্স স্থাপন করেছেন তিনি।ইতিমধ্যেই ৫৩ কেজি মধু সংগ্রহ করে ফেলেছেন তিনি। যতদিন মধু থাকবে ততদিন তিনি এখানেই অবস্থান করবেন।
বর্তমান মধুর বাজার দর কেজি প্রতি পাইকারি ২০০ এবং খুচরা ৪০০ টাকা যা গত বছর মণ প্রতি সারে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ছিল। তিনি আশা করছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারে তার মত মৌ খামারি সকল মৌচাষিরাই ভাল একটি ফলনের আশা করছেন।