বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪০% ভাগ জনগোষ্ঠী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছে (বিবিসি বাংলা ও আশা ইউনিভার্সিটি এর গবেষণা প্রতিবেদন-২০১৫)।
বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে মুজিব নগর সরকারের নির্দেশে ব্যাটল ফিল্ডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিতে ডা. হিসাবে স্বাক্ষর রেখেছে বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ের সম্মানিত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে তার উল্লেখ রয়েছে (সূত্র : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, পঞ্চদশ খন্ড ৯৪ পৃষ্টা)। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে যখন স্বাধীন এক ভূখন্ড পেয়েছে বাংলাদেশ তখন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান সবকিছুতেই ছিল অপূর্ণতা সেই সময়েও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ স্বাস্থ্যসেবার দ্বার উন্মুক্ত রাখার মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকার স্বীকৃত ডিগ্রি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ২টি কোর্স রয়েছে। ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্স প্রায় ৬৭টি বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে রয়েছে। আর ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (বিএইচএমএস) ডিগ্রি কোর্সের জন্য ২টি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ রয়েছে, তার মধ্যে একটি সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও অপরটি বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ।
সরকারি হোমিওপ্যাথিক কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সাল হতে ২০২৩ সাল প্রায় ১০ বছরে আইন সংসদে উত্থাপিত করতে তেমন চেষ্টা করেননি। বরং জনমত ও কঠোর চাপে একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশনে উত্থাপনে ও পাসে কাজ করছেন। তা গভমেন্ট সার্ভিস রুলসে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তথা জনগণের সেবক হিসেবে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩ :
২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উথাপিত হয়েছে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩। বা. জা. স. বিল নং ৪৮/২০২৩। Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance, 1983 রহিতক্রমে সময়ােপযােগী করিয়া নতুনভাবে প্রণয়নকল্পে আনীত বিল। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উথাপিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বিলটি ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উত্থাপিত হবার পর বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বিলটি প্রেরণ করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি বৈঠকে ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে হোমিওপ্যাথি আইন গৃহীত :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে উত্থাপিত হয়ে আইনটি চার কর্মদিবসের মধ্যে স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট সহ অধিবেশনে উপস্থাপনের জন্য প্রেরিত ২৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্যদের মধ্যে (কমিটির সভাপতি ছাড়া প্রায় সদস্য এলোপ্যাথি ও এলোপ্যাথি ভাবাপন্ন) ও এলোপ্যাথি/এলোপ্যাথি ভাবাপন্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরও আছে তাদের অনেকে হোমিওপ্যাথদের আইনে ডাক্তার “ডা.” শব্দ নিয়ে তীব্র মতভেদ ও বিরোধিতা হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের তথা আদালতের সার্টিফায়েড কপি ও সংগৃহীত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি/ডকুমেন্টস সকলের নিকট প্রদর্শন/দেখানো/উপস্থাপনের পর রক্ষা হয়। আদালতের কপি ও নথি/ডকুমেন্টসে কাজ হয়।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বিলে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য একমত হয় ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সংশোধনীসহ সম্মতিক্রমে বিলটি জাতীয় সংসদে পাস করার প্রস্তাব করেছেন। ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি কর্তৃক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বিলটি রিপোর্ট সহ উপস্থাপন ও গৃহীত হয়।
ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা সহ বিশ্বের সব দেশেই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী নিজ নিজ দেশের হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করে আসছেন। বাংলাদেশে ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ হতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ আইনগতভাবে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করে আসছেন।
সামাজিক মাধ্যমে দিকনির্দেশনা মূলক লেখায় ২ নভেম্বর ২০২৩ জাতীয় সংসদে পাসের জন্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩।
=====================================
[৩১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) লেখার শিরোনাম সহ প্রকাশিত লেখাটি :
“বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন সংসদে পাস করা প্রসঙ্গে।”
সময় কম বিল বেশী তাই মাননীয় পিএম টিক দিচ্ছে। অন্য কারো কিছু করার নাই। তারপরও চেষ্টা করছে হোমিওপ্যাথিক বোর্ড। -সূত্র বোর্ড।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪০% ভাগ জনগোষ্ঠী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছে (বিবিসি বাংলা ও আশা ইউনিভার্সিটি এর গবেষণা প্রতিবেদন-২০১৫)।
বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে হোমিওপ্যাথির অবস্থান ও হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার, তাদের পরিবার, আত্মীয় স্বজনরা যেমন রয়েছে, বিশাল জনগোষ্ঠী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেয়, তাদের বিশাল ভোটের বিষয় বিবেচনা করে ও বিস্তারিত মাননীয় পিএম কে বুঝিয়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন সংসদ অধিবেশনে শেষ মূহুর্তে পাস করার জন্য
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড চেয়ারম্যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতির ফোন বা বিশেষ বার্তা সরাসরি পিএম এর নিকট পাঠানো ও বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) এর সভাপতি বসুন্ধারা গ্রুপের পরিচালক এর মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান কে দিয়ে সরাসরি মাননীয় পিএম কে ফোন করানো যায়।
১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখেও জাতীয় সংসদ অধিবেশনে দিনের কার্যসূচিতেও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ পাসের জন্য নেই?
২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর অধিবেশনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর মন্ত্রী কর্তৃক উত্তাপিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল ২০২৩ আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক চার কার্যদিবসের জন্য রিপোর্ট প্রদানের জন্য জাতীয় সংসদ কর্তৃক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নিকট প্রেরিত হয়। ২৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে জাতীয় সংসদ এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিলটির বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল ২০২৩ আইন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি কর্তৃক কমিটি গুলো কর্তৃক সুপারিশকৃত সংসদে স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপিত হলে সংসদ কর্তৃক রিপোর্ট গৃহীত হয়।
২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল ২০২৩ স্থায়ী কমিটি কর্তৃক সংশোধনীসহ আইন পাস করার জন্য স্থায়ী কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত রিপোর্ট জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপিত এবং গৃহীত হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বিল ১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখেও জাতীয় সংসদে দিনের কার্যসূচিতে সংসদে পাস করার বিষয়ে কোন প্রকার উল্লেখ নেই?
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বিলটি ২৯ অক্টোবর ২০২৩ জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সভাপতি কর্তৃক রিপোর্ট সংসদ অধিবেশন উপস্থাপন হবার পর পঠিত ও গৃহীত হয়েছে। তারপর হতেই বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃপক্ষ আবারে জোরদার চেষ্টা করতে হবে যাতে সর্বোচ্চ ২/৪ দিনের মধ্যেই জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অধিবেশনের দিনের কর্মসূচিতে আসে। অধিবেশনে আইনটি পাসের জন্য উত্থাপিত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্তৃক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ পাসের জন্য সংসদ অধিবেশনের দিনের কার্যসূচীতে আনতে হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা ও তদবীর করা। সময় কম। এজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব এবং স্পীকার/ডিপুটি স্পীকারের সঙ্গে আবারো সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা বেশি। শেষ মূহুর্তের কাজে সর্বদা লাগিয়ে থাকতে হয় ও দ্রুত সময়ে করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। উল্লেখ্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর একাদশ সংসদ এর ২৫ তম তথা শেষ অধিবেশন ২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। বিশেষ কারণ ছাড়া কার্য উপদেষ্টা পরিষদ/কমিটি অধিবেশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করবেনা। সর্বদা শুভ কামনা রইল।
৩১ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।]
“বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (Banglades Homoeopathic Medical Education Act. 2023)” বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস :
আইন অনুযায়ী বাংলাদেশেও হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারীরাও ডাক্তার (ডা.) পদবি ব্যবহার করতে পারবেন। আইন অনুযায়ী বর্হিবিশ্বের মত বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রণ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষার জন্য “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (Bangladesh Homoeopathic Medical Education Council)” হবে।
০২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর অধিবেশনে হোমিওপ্যাথিক আইন পাসের প্রক্রিয়াকালে আইন উল্থাপন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশে জনপ্রিয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও ঔষধ এবং চমৎকারভাবে রোগী নিরাময় নিয়ে মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যদের সুন্দর আলোচনা, সংশোধনী ও কন্ঠ ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে আইন পাস হয়েছে। বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর হোমিওপ্যাথিকদের নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে মাননীয় সংসদ সদস্যদের সুন্দর আলোচনা ও হোমিওপ্যাথিক আইন পাস করে সকল মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যরাও হোমিওপ্যাথিক ইতিহাসের অংশ হলো। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সকল অধিবেশন ও কার্যক্রমের সমস্ত কিছু রেকর্ড জাতীয় সংসদ সচিবালয় সংরক্ষণ করে থাকে। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ গর্বিত। আইন অনুযায়ী ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (Bangldesh Homoeopathic Medical Education Council)” নামে হবে। সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। বাংলাদেশে পাঁচ দশকের শোষিত ও বঞ্চিত হোমিওপ্যাথিকদের জন্য লেথালেখি, দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি ডকুমেন্টস সরকারি হোমিওপ্যাথি কর্তৃপক্ষকে প্রদান, দিকনির্দেশনা প্রদান, সরকারকে রেজিস্ট্রিকৃত নথিপত্র প্রদান, দাবি ও অধিকার আদায়ে নিজেদের সোচ্চার হওয়া, নিজেদের এবং মিডিয়ার দীর্ঘ পরিশ্রম ও সংগ্রাম সার্থক এবং হোমিওপ্যাথিক ইতিহাসের অংশ হলো।
বাংলাদেশের মাঠ পর্যায় হতে হোমিওপ্যাথিক দাবি/অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সরকার ও মন্ত্রণালয়, হোমিওপ্যাথিক বোর্ডে ডকুমেন্টস/নথি প্রেরণ এবং সার্বিক সহযোগিতা :
দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় অতিগুরুত্বপূর্ণ তথা দুর্লভ পরিপত্র/বিধিমালা/প্রজ্ঞাপন/আইন/নথি/ডকুমেন্টস যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডেও সংগ্রহে বা জানা নেই, সেসকল নথি ও ডকুমেন্টস ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে এসমন্ত রাষ্ট্রীয় দপ্তর গুলোতে সরকারি বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন সময় সরকারি রেজিস্ট্রি ডাকে ও ই-মেইলে প্রেরন। পরিবারে বংশ পরস্পরায় সরকারি হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। পরিবারে বর্তমানে ৫ জন হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। এ দায়বদ্ধতা ও হোমিওপ্যাথির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা থেকে হোমিওপ্যাথির জন্য কাজ করে যাওয়া হয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষার সরকারি ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও কখনও হোমিওপ্যাথির জন্য বর্তমান ও ভবিষ্যতেও কোন পদ-পদবী বা ক্ষমতার মোহ গ্রহণ করা নয় বা কোন আগ্রহ কখনও নেই বরং দেশের হোমিওপ্যাথদের জন্য কিছু করা তথা হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে নিরবে নিভৃতে কাজ করে যাওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিদের ডাক্তার পদবি, নতুন হোমিওপ্যাথিক আইন সহ বেশকিছু বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক সংগঠন বিদেশি দূতাবাসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে দূতাবাসের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে স্মারকলিপি প্রদান করে ও সাক্ষাতেরও আগ্রহ জানায়। Freedom in the power of the pen. অসি অপেক্ষা মসি অধিকতর শক্তিমান। কখনও কোন পদ-পদবী বা ক্ষমতার মোহ গ্রহণ না করে ও পর্দার অন্তরালে থেকেও বা নিরবে নিভৃতে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারি হোমিওপ্যাথিক কর্তৃপক্ষের শীর্ষ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রেরন এবং ই-মেইলে ও সরকারি ডাক বিভাগ এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ডাক যোগে দুর্লভ নথি/ডকুমেন্টস পাঠিয়েও কাজ করা যায় (সরকারি ডাক রেজিস্ট্রি রশিদ ও বিভিন্ন নথি সমূহ সংরক্ষিত)। তা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে মাঠ পর্যায়ে হোমিওপ্যাথদের প্রয়োজনে ও সরকারি হোমিওপ্যাথিক কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তা চলমান থাকবে। শেষ বেলায়েও হোমিওপ্যাথির জন্য কাজ হচ্ছে এটাই ক্ষণস্থায়ী এ জীবনে চরম স্বার্থকতা। ইতিহাস অবশ্যই স্মরণ করবে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশের ৫ দশকে বিভিন্নভাবে শোষিত ও বঞ্চিত সম্মানিত ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকেও জাতি এবং হোমিওপ্যাথরা স্মরণ করবে। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন এবং যথাযথ মর্যাদার সহিত অধিষ্ঠিত হোক। জয় হোক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির।
[ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) কর্তৃক ২৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াতে প্রকাশিত লেখা]
‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ বিল পাসের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের মাঠ পর্যায় তথা তৃর্ণমূল পর্যায় হতে কাজ করা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ :
(১) প্রধান : ডা. মোঃ আব্দুস সালাম (শিপলু) ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) [চিকিৎসক, শিক্ষক, কলামিস্ট, কেন্দ্রীয় চিকিৎসক নেতা ও শিক্ষক নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক], বগুড়া, বাংলাদেশ।
(২) প্রধান : ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), [সহকারী অধ্যাপক (অব.), সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা], ঢাকা, বাংলাদেশ।
(৩) সিনিয়র ব্যক্তিত্ব : ডা. মোঃ সাখাওয়াত ইসলাম ভূঁইয়া। ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), ঢাকা, বাংলাদেশ।
(৪) সিনিয়র ব্যক্তিত্ব : ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), ঢাকা, বাংলাদেশ।
(৫) সিনিয়র ব্যক্তিত্ব : ডা. শেখ ফারুক এলাহী, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), পি-এইচডি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
(৬) ডা. মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), [সহকারী সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়), ঢাকা এবং অধ্যক্ষ ডা.কামরুল ইসলাম মনা,ডিএইচএমএস(হোমিওপ্যাথি),কুষ্টিয়া।
(৭) ডা. মোঃ হাবিল মিয়া (হাবিল বাঙ্গালী), ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), কিশোরগঞ্জ।
(৮) ডা. মোঃ অনন্য মান্নান, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), রংপুর।
(৯) ডা. মোঃ মিজানুর রহমান, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), ঢাকা।
(১০) ডা. মোঃ ফরিদুল ইসলাম (সোহাগ), ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), এমপিএইচ, পাবনা।
(১১) ডা. মোহাম্মদ দিদারুল আলম, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), চট্টগ্রাম।
(১২) ডা. আকম রফিকুল ইসলাম, ডিএইচএমএস, চট্রগ্রাম।
(১৩) ডা. মো. ইয়াকুব আলী সরকার, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি),ঢাকা।
(১৪) ডা. অঞ্জন কুমার দাস, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), নরসিংদী।
(১৫) ডা. মো. রবিউল ইসলাম, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), মুন্সিগঞ্জ।
(১৬)গণমাধ্যম : ডা. মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), রাজশাহী।
(১৭)গণমাধ্যম : ডা. এস জামান পলাশ, ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), [প্রভাষক, চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ), চাঁদপুর।
(১৮) গণমাধ্যম : ডা.এম.এ. মান্নান
ম্যানেজিং ডিরেক্টর,মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র,নাগপুর,টাংগাইল।
(১৯) অল হোমিও নিউজ কর্তৃপক্ষ, ঢাকা।
(২০) অন্যান্য।
‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ বিল পাসের প্রক্রিয়ায় সরকারের পক্ষে যেহেতু বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড সরকারি/কর্পোরেট/সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান এর পক্ষে হতে কাজ করেছেন ও অবদান রেখেছেন :
(১) প্রধান : ডা. দিলীপ কুমার রায়, ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস। [চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড]
(২) ডা. শেখ ইফতেখার উদ্দিন, ডিএইচএমএস [সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড]
(৩) ডা. আশিষ কুমার নিয়োগী, ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস [সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড]
(৪) ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), [সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড]
(৫) ডা. কায়েম উদ্দিন, বিএইচএমএস [সদস্য, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড]
(৬) ডা. তোফাজ্জল হোসেন, ডিএইচএমএস, [সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও বর্তমান সভাপতি, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট, সহযোগী অধ্যাপক টাংগাইল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)]
(৭) ডা. একেএম ফজলুল হক সিদ্দিকী, ডিএইচএমএস (সদস্য, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড]
(৮) ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিএইচএমএস [রেজিস্টার, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, সাচিবিক দায়িত্ব/সরকারি পদে কর্মরত]
(৯) ডা. অমিত কুমার রায়, ডিএইচএমএস (সহকারী রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, সহকারি সাচিবিক দায়িত্ব/সরকারি পদে কর্মরত]
(১০) অন্যান্য।
‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ বিল পাসের প্রক্রিয়ায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের মাননীয় সংসদ সদস্যবৃ্ন্দ :
(১) মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব ফখরুল ইমাম, (২) মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব রওশন আরা মান্নান, (৩) মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, (৪) মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব রুস্তম আলী ফরাজী, (৫) মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব কাজী ফিরোজ রশীদ (৬) মাননীয় সংসদ সদস্য (স্বতন্ত্র সদস্য) জনাব রেজাউল করিম (বাবলু)।
‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ বিল পাসের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে অবদান রেখেছেন :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
মাননীয় স্পীকার, শিরীন শারমিন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
মাননীয় ডেপুটি স্পীকার, শামসুল হক (টুকু) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
মাননীয় সভাপতি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম (সাবেক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত মংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
মাননীয় সংসদ সদস্য, ডা. আ.ক.ম রুহুল হক (সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী), সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
মাননীয় মন্ত্রী, জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মাননীয় মন্ত্রী, আনিসুর হক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষযক মন্ত্রণালয়।
১১তম সংসদ এর ২৫তম অধিবেশনের সকল মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ।
সাচিবিক দায়িত্ব :
সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
অন্যান্য।
পরিশেষ :
ভারত সরকারের অনুমোদন বিহীন ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় হতে ভুয়া এমবিবিএস (এএম) পাসকৃত তাদের সার্টিফিকেট বৈধতা, ডা. পদবি লেখা প্রভৃতি বিষয়ে রিট পিটিশন ভারতের MBBS (AM) ও বাংলাদেশে BMDC দ্বন্দ্ব, রিটে রুল খারিজ হলেও হোমিওপ্যাথিরা ক্ষতিগ্রস্ত (২০২১ খ্রিষ্টাব্দ)।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর আপীল বিভাগের আপীল বেঞ্চ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের সিভিল পিটিশন (পক্ষ : বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস ফাউন্ডেশন), (পক্ষ : বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড) সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপীল (আপীলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গ্রহণ করে। আপীল গ্রহণে আদালত বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথদের ডা. উপাধি নিয়ে এককভাবে হাইকোর্টের নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণটি হাইকোর্টের রায় থেকে অপসারণযোগ্য, হাইকোর্টের রায় ও আদেশ খারিজযোগ্য উল্লেখ করে হোমিওপ্যাথদের সুপ্রীম কোর্ট লিভ টু আপীল গ্রহণ করার কারণ উল্লেখ করে আদালত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অবজারভেশন দেয়।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. উপাধির সপক্ষে ও হাইকোর্টের রীট পিটিশন এবং হাইকোর্টের এখতিয়ার, হাইকোর্টের একক নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্ট রুলের বাহিরে বহুদূর চলে যাওয়া সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অবজারভেশন দিয়েছে।
ফলে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি ও জনস্বার্থে নতুন হোমিওপ্যাথিক আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (Banglades Homoeopathic Medical Education Act. 2023)” বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশেও হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারীরাও ডাক্তার (ডা.) পদবি ব্যবহার করতে পারবেন। আইন অনুযায়ী বর্হিবিশ্বের মত বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রণ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষার জন্য “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (Bangladesh Homoeopathic Medical Education Council)” হবে।
এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ও সার্বিকভাবে এগিয়ে যাক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লেখাও অত্যান্ত জটিল ও কঠিন বিষয়। ইতিহাসে কখনও বিকৃতি কাম্য নয়। প্রয়োজনে তারপরও কোন তথ্য পেলে যাচাই-বাছাই করে সংযোজন বা বিয়োজন করা হবে)
(মতামত ও তথ্যসূত্র : আইন, প্রজ্ঞাপন, পরিপত্র, সংবাদপত্র, নথি/ডকুমেন্টস সহ অন্যান্য)
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
(চিকিৎসক, শিক্ষক, কলামিস্ট, কেন্দ্রীয় চিকিৎসক নেতা ও শিক্ষক নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক)
বগুড়া, বাংলাদেশ।