শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

প্রশংসায় ভাসছেন পৌর মেয়র

বেলাল হোসাইন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ

খাগড়াছড়ির রামগড়ে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন এবং অবহেলায় পড়েছিলো রামগড় বাজারে প্রবেশমুখের ঢাকা -চট্টগ্রামের মহাসড়কটি।সড়ক এবং জনপথ অধিপ্তরের আওতাধীন হলেও তারা সড়কটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করেনি।জনগণের অসহনীয় ভোগান্তি এবং দুর্দশা দেখে সড়কটি পৌরসভার পক্ষ থেকে পুরোপুরি সংস্কার করে দিয়েছে রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল।

জানা যায়,খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামগড়ের প্রবেশমুখ এটি।সড়কের পাশেই রয়েছে কয়েকটি বিদ্যালয়,মাদ্রাসা,মসজিদ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর।পরিপূর্ণ সংস্কারের অভাবে এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে মাটি ধ্বসে পড়ে বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়।ফলে সেই স্থানে বিভিন্ন সময়ে প্রাণ হারায় দুইজন এবং আহত হয় প্রায় শতাধিক মানুষ।প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছিল এই সড়ক দিয়ে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান,এ সড়কে সওজ অধিদপ্তর থেকে মাঝেমধ্যে কিছু নিম্ন মানের ইট দিয়ে মেরামত করা হয়। কয়েক দিন পর আবার আগের অবস্থা হয়ে যায়। এ কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে থাকতো।স্বপ্রণোদিত হয়ে পৌর মেয়র সড়কটি সংস্কার করে দেওয়ায় মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে।নির্বিঘ্নে মানুষ যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করে এখন।

বাস শ্রমিক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, এখান দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার যান চলাচল করে। এখান দিয়ে যেতে হলে গতি কমিয়ে দিতে হতো। সড়কের গর্ত পার হতে গেলেই মাঝেমধ্যে মালবাহী ট্রাক উল্টে পড়ে। পণ্যের ক্ষতি হতো।সড়ক সংস্কারের এই কাজটি পৌর মেয়রের সত্যি প্রশংসনীয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথ বলেন,এই সড়কটি রামগড়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।মেরামতের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিলো এটি।অনেক মানুষ প্রাণ হারায়।এই অবস্থা দেখে পৌর মেয়র সড়ক সংস্কারে এগিয়ে আসায় তাকে ধন্যবাদ জানান

রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন,বিভিন্ন সময় এই সড়কে প্রাণহানি এবং দুর্ঘটনা ঘটতো।সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে মেরামত করলেও কয়েক ঘন্টা পরেই নষ্ট হয়ে যায়।তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সড়কটি পুরোপুরি সংস্কার করে দেয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর