আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরে তফসিল আর জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে এরইমধ্যে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর এলাকার প্রার্থীরা নিজ সংসদীয় এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। এ আসনে দুই দলের দেড় ডজন প্রার্থী দেখা যাচ্ছে। তারা নিজেদের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে দিন রাত ছুটে চলেছেন ভোটার ও দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মন জয় করতে। ইচ্ছেমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন দুস্থ ও অসহায়দের জন্য।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন আর কে পাচ্ছেন না বিষয়টি এখনো কারো জানা নেই। কিন্তু প্রত্যেক প্রার্থীই মনোনয়ন পাচ্ছেন এমনটি বলে ভোট চাচ্ছেন এবং প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাই।
আওয়ামী লীগ পরিবারের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত দীর্ঘদিন হচ্ছে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পাবনা-৩ আসনে একমাত্র নারী প্রার্থী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী ও পুষ্টি বিজ্ঞানী উমেদা জাবীন সমাজী (ইউ জাবীন সমাজী)। ইউ জাবীন সমাজী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন এমপিএ, এমসিএ এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক সমাজীর পুত্রবধু। তিনি নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন ও নিয়মিত করছেন উঠান বৈঠক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনার পাঁচটি সংসদীয় এলাকার মধ্যে আওয়ামী লীগের নারী নেত্রী ইউ জাবীন সমাজী পাবনা-৩ সংসদীয় এলাকা থেকে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে সরাসরি মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য ইউ জাবীন সমাজী চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর সংসদীয় আসন থেকে নৌকায় মনোনয়ন পেতে তিনি এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা জোরে সোরে চালাচ্ছেন।
ইউ জাবীন সমাজী মনে করেন, তিনি চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য। কারণ তার পরিবার দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ইতিহাস রয়েছে। তার পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
ইউ জাবীন সমাজী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ফুলের মধ্যে সবচেয়ে পছন্দ ও ভালো ফুলটি বেছে নিবেন। সেই ক্ষেত্রে আমি তৃণমূলের নিকট এগিয়ে আছি, আমিই এ আসনে মনোনয়ন পাবো এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তি শালি করতে ও নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়নে আমি সর্বচ্চ ভুমিকা রাখতে পারবো। দেশ ও জনগণের সেবা করার একটি সুযোগ পেতে এবং সেই সুযোগকে কাজে লাগাতেই নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছি। এরই মধ্যে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছি। বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট আকারে উঠান বৈঠক করছি। সেখানে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরছি। এ এলাকার জনগণ আমাকে যোগ্য মনে করেন, তারা আমাকে এমপি হিসেবে চান। তবে তিনি বলেন, প্রচার-প্রচারণা চালালেও দলের হাইকমান্ড থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে আমি তার পক্ষেই কাজ করবো।
উল্লেখ্য, অনেকের ছেলে মেয়ের পড়া লেখার ব্যয়ভার বহন, গরীব অসহায় রোগির চিকিৎসা সহায়তা, গরীব ও এতিম ছেলে মেয়েদের বিবাহে সাহায্য করা, প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করা, বেকারদের স্বাবলম্বি করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা, মসজীদ, মাদ্রাসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করা, মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করা, শীতার্ত গরিব দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ঈদের সময় সাধ্যানুযায়ী সহায়তা করছেন। ইউজাবীন সমাজী এলাকার মানুষের নিকট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।