রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
বরিশালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরীর আগরপুর রোডে জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন এর কার্যালয় এবং ডিবি পুলিশের সহযোগিতা শনিবার দুপুরে দ্যা মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান নেতৃত্বে অভিযানকালে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট মোঃ মুজিবুর রহমান ও ডাঃ জাকির হোসেন খন্দকার এর শনিবারের স্বাক্ষরে রোগীদের প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে।
আদালত জানতে পারে যে, উল্লেখিত দু’জনের কেউই শনিবার ওই ক্লিনিকে যান নি। ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মুন মেডিকেল সার্ভিসেস এর সাথে তাদের সম্পৃক্ততা ও এ ধরনের স্বাক্ষর দানের বিষয়টি অ¯^ীকার করেন।
এসময় আদালত দেখতে পান যে, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করে ল্যাবে বিভিন্ন মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে, বাস্তবে সেখানে কোন সার্টিফাইড টেকনোলোজিস্টই নেই। এমনকি হচ্ছে না কোন পরীক্ষা ও। পাশাপাশি এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির লাইসেন্স মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হলেও নতুন করে নবায়ন করা হয় নি। নবায়নের জন্য কোন আবেদনও করেনি তারা। আদালতের বিচারক মোঃ জিয়াউর রহমান মেডিকেল প্রাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ১৩(২) ধারায় দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস এর মালিকপক্ষ মোঃ হোসেন শাহীন ও শ্যামল মজুমদারকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এসময় তাদের সহযোগী ইব্রহীম রানা এবং শ্যাম সাহাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। অভিযানে আদালত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করে দেয়। অভিযান শেষে বিচারক বলেন, জনস্বার্থ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।