শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে জামায়াতে ইসলামী’র ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্বাচনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ ইউএনও’র বিরুদ্ধে জকিগঞ্জে এইচসিআই’র উদ্যোগে আধুনিক মাদরাসার উদ্বোধন ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করলো বিজিবি ঈশ্বরদীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শোকজ ঘিরে বিতর্ক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত ওসিকে প্রত্যারের দাবিতে সাংবাদিকদের  মানববন্ধন লামায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট অভিযান 

পাবনা -৩ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী খ ম কামরুজ্জামান মাজেদের সংবাদ সম্মেলন

মেহেদী হাসান, ফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:০৬ অপরাহ্ণ

পাবনা- ৩ (ফরিদপুর, ভাজ্ঞুড়া চাটমোহর) আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান ফরিদপুর পৌর মেয়র খ, ম কামরুজ্জামান মাজেদ।

(২২ শে সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বেলা ১১ ঘটিকার সময় ফরিদপুর পৌরসভা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে খ,ম কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন,আমি বিভিন্ন সময় দুর্যোগ – মহামারিতে আমার সাধ্যমতো জনগণের পাশে ছিলাম।এখনো আমি প্রতিনিয়ত (ফরিদপুর, ভাজ্ঞুড়া, চাটমোহর) জনগণের পাশে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। করোনার মতো মহামারি সময় আমি ব্যাক্তিগত ভাবে জনগণের মাঝে খাদ্য সহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে গেছি। এছাড়াও তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম সবার মাঝে তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের সকল কিছু সাংবাদিকদের মাঝে তুলে ধরেন,তিনি ১৯৬৮ সাল হতে রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন এবং তিনি ঐ সময় ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) গ্রুপের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়।১৯৬৯ সালে গন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন পাকিস্তানি পুলিশ দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়।১৯৭০ সালে সক্রিয় ভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন এবং ১৯৭১ সালে সক্রিয় ভাবে মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) গ্রুপের ফরিদপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৭৪ সালে( বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি মোজাফফর) গ্রুপের ফরিদপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৭৭৫ সালের বাঙালী জাতির সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের হত্যা কান্ডের পর আত্ম গোপনে চলে যাই,এবং আত্ম গোপন থাকা অবস্থাই ১৯৭৬ সালে জানুয়ারীতে গ্রেফতার হয়ে প্রচন্ড পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন।

১৯৭৭ সালে স্বরৈ সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের হ্যা- না ভোটের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে নির্বাচনের দিনে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন।১৯৭৮ সালে পাবনা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রাথী এম,এ জি ওসমানী সাহেবের পক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন এবং পাবনা জেলা (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি মোজাফফর) সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে গ্রেফতার হন এবং অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৮৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে এম,এস,এস (ডিপ্লোমা) ডিগ্রী অর্জনের জন্য বুলগেরিয়া গমন করেন।১৯৮৯ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যোগদানের পর থেকে ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি হিসাবে এবং জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসাবে পালন করে যাচ্ছে।

১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ পতন আন্দোলনে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জননেতা ওয়াজিউদ্দিন খান সাহেবের পক্ষে ০৩ (তিন)টি উপজেলায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন।১৯৯১- ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বি এন পি জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়াজিউদ্দিন খান সাহেবকে নির্বাচিত হাওয়ার ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সাহেবের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের মহা সমাবেশে যোগদানের সময় ঢাকাতে বারডেম হাসপাতালের সামনে বিএনপি জামাত জোট সরকারের গুন্ডা বাহিনী দ্বারা আক্রমণের শিকার হন এবং ঐ সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।২০০৬ সালে ওয়ান ইলেভেনের পর মইনুদ্দিন,ফখরুদ্দিন ক্ষমতায় আসার পর নেত্রী গ্রেফতার হাওয়ায় তার মুক্তির দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলেন।

২০০৮ সালে ২ই ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সাহেবের পক্ষে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন।

২০১১ সাল হতে পর পর (০৩) তিন বার আওয়ামী লীগের “নৌকা ” প্রতিকে ফরিদপুর পৌরসভা মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচন ও দলীয় কার্যক্রম সহ সকল কিছুতে সক্রিয় ভাবে ভুমিকা পালন করে চলেছে। এ সময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: আব্দুল হালিম, ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এম মামুনুর রশীদ রুমন সহ প্রিন্ট মিডিয়া ও সাংবাদিকবৃন্দ।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর পৌরসভা কে ৩য় শ্রেণী থেকে ১ম শ্রেণিতে রুপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি।ফরিদপুর পৌরসভার ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ রাস্তা উন্নয়ন করেছি।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি এমপি মনোনয়ন পান তাহলে তিনি ফরিদপুর, ভাজ্ঞুড়া, চাটমোহর উপজেলার যোগাযোগ, শিক্ষা,চিকিৎসা সহ চলনবিলের সকল সমস্যা গুলো জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের দেখানো পথে কাজ করা হবে।

এ সময় তিনি বলেন, যদি আমি দলীয় মনোনয়ন না পাই তাহলে, যেই এই দলীয় মনোনয়ন পাবে তার সাথে কাধে কাধ রেখে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় কাজ করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর