মো. আখলাকুজ্জামান গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুরে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও জমে উঠেছে ঈদের হাটবাজার। কিন্তু ওই হাটবাজারে কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। এলাকার সচেতন মানুষ বিষয়টি নিয়ে উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে জানিয়েছে উপজেলা রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগ।
শনিবার পৌর সদরের চাঁচকৈড় হাটে লক্ষ্য করা গেছে, অধিকাংশ লোকই মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। গত কয়েকদিনে ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোটবড় বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের গাদাগাদি ভিড় বেড়ে গেছে। ক্রেতাদের আগমনে খুশি বিক্রেতারাও। কিন্তু স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই চলছে বেচাকেনা। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ছে।
জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেছেন, করোনার কারণে রমজানের ঈদে ব্যবসা হয়নি। ফলে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। এক সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা কম ছিল। তবে ২২ জুলাই থেকে ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
এদিকে সচেতন মহল দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, চাঁচকৈড় হাটের ঠাসাঠাসি ভিড়ে অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এমনকি শারীরিক দূরত্বও কেউ মানছেন না। করোনার প্রাদুর্ভাবে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (মেডিকেল অফিসার রোগনিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. মেসবাউল ইসলাম জানান, গুরুদাসপুরে এ পর্যন্ত ৪৯ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ইউএনও মো. তমাল হোসেন, তার স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া ও কালেরকন্ঠ প্রতিনিধি আলী আক্কাছসহ ৩৯ জন সুস্থ হয়েছেন। তবে করোনা উপসর্গ নিয়ে ঈদের হাটবাজারে অনেকেই মাস্কবিহীন চলাফেরা করছে। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে জানান তিনি।