তিন বছরের শিশু মালিহা ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিক্ষক মিজানুর রহমান ভর্তি করেন পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে। চিকিৎসক স্যালাইন দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই নার্স স্যালাইন দেন। কিন্তু অর্ধেকের বেশী দেহে প্রবেশের পর শিশুটির পিতা দেখতে পান স্যালাইনের মেয়াদ চলে গেছে গত মে মাসে। তখনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেধে যায় হৈ চৈ । অবশেষ এর প্রতিকার চেয়ে শিক্ষক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শিক্ষক মিজানুর রহমান পার্শবর্তী চাটমোহর উপজেলা মহেলা এলাকার বাসিন্দা ও মহেলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। তিনি তার শিশু কন্যা মালিহা ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে ভালো না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার ভোর ৬টা দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়েরিয়া ওয়াডে ভর্তি করেন। চিকিৎসক ব্যবস্থা পত্রে স্যালাইন দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই সরবরাহকৃত স্যালাইন নার্সরা লাগিয়ে দেন। কিন্তু স্যালাইন অর্ধেকের বেশী শিশুটির দেহে প্রবেশ করার পর শিশুটির পিতা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দেখতে পান স্যালাইনের মেয়াদ চলে গেছে গত মে মাসে। তখনই তিনি স্যালাইন বন্ধ করে দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সদের সাথে বেঁধে যায় হৈ চৈ। ঘটনার পরপরই আরএমও ডাঃ আলামিন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে শিশু মালিহাকে দেখে তার অবস্থা ভালো আছেন বলে আশ্বাস দেন। মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন শিশুর দেহে পুশ করার খবর পেয়ে রোগীর স্বজনেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভীড় করতে থাকে। অবশেষ এর প্রতিকার চেয়ে সন্ধ্যার দিকে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে জানতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্টোর কিপার মো. রেজাউল করিম কে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আলামিন জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করাই আগেই মেয়াদ আছে কি না তা দেখা উচিত ছিল সাংশ্লিষ্ঠ নার্সদের। বিষয়টি ঠিক হয় নি বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ ব্যপারে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোছা: হালিমা খানম জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করা অন্যায়। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পাবনা সিভিল সার্জন ডাঃ মনিসর চৌধুরী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।