আসুন আমরা সবাই বিশুদ্ধ অক্সিজেন বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি।
আমরা চাইলেই একটি গাছ লাগিয়ে বিশুদ্ধ অক্সিজেন বৃদ্ধি ও পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারি।
এখন দেশজুড়ে দেশীয় ফল আম,জাম, লিচু, কাঁঠাল সহ নানারকম ফল খাবার মৌসুম।
আর এই সিজনারি বিভিন্ন ফলগুলো খাওয়ার পর তার বীজ/আঁটি/দানা/গুলোকে ফেলে না দিয়ে সেগুলোকে ভালো করে পানিতে ধুয়ে, শুকিয়ে একটা কাগজে মুড়ে যত্ন করে রেখে দিন। দৈনন্দিন কাজে অথবা দূরে কোথাও গাড়িতে করে ঘুরতে যাওয়ার সময় সেই বীজগুলো অবশ্যই রাস্তার দুই ধারের ফাঁকা জমিতে একে একে সেই বিজ গুলো ছড়িয়ে দিন। আসছে বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি পেলেই সেই বীজ থেকে নতুন চারাগাছ জন্ম নেবে। আপনার ছিটানো সেই বিজ গুলোর মধ্যে যদি একটা গাছও বেঁচে থাকে তবে সেটাই হবে এই পৃথিবীকে আপনার দেওয়া সবথেকে বড় উপহার।
ফলের_গাছ শুধু পরিবেশকে অক্সিজেন দিয়ে সতেজই রাখেনা, ফল মৌসুমে ফল খাবার লোভে অনেক পাখিও আসে গাছে গাছে। যার ফলে পরিবেশ ও পৃথিবীর হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য রক্ষা পাবে। পৃথিবীর অনেক দেশই এই ভাবে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁচাতে এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেন বৃদ্ধির কাজে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
তাই আসুন আমরাও আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করি এই পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা ও প্রকৃতিকে ভালো রাখার। যার যার অবস্থান থেকে অন্তত একটি করে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করি।
বন অধিদপ্তর/সরকারের উপর সব দায় না চাপিয়ে নিজেরা সচেতন হই, ভুলে যাবেন না গাছ আল্লাহ প্রদত্ত প্রাকৃতিক অক্সিজেনের অসীম নেয়ামত। আসুন আমরা প্রকৃতিকে ভালোবাসি, গাছ লাগাই এবং গাছ কাটা থেকে বিরত থাকি।