মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:
যশোর জেলার সদর উপজেলার বসুন্দিয়ায় অবস্থিত বহুল আলোচিত মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকে গতকাল ২১ জুলাই বেলা ৪ টায় আকষ্মিক অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি চৌকস টীম। অভিযানে চিকিৎসা ব্যাপারে নানা বিষয় অনিয়মের ব্যাপারটা অভিযান টিমটির নজরে আসে। প্রাঃ হাসপাতালটিতে পাওয়া যায় বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ। তাছারা চিকিৎসক, ল্যাব, টেকনিশিয়ান ও নার্স না থাকার কারণে ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়। এবং প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কথিত ডাঃ খলিলুর রহমানকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বসুন্দিয়া মোড়ে এই ক্লিনিকটি গড়ে উঠলেও উত্তরোত্তর উন্নতি হয়নি চিকিৎসা সেবার। কয়েকবার স্থান ও ভবন পরিবর্তন করে চিকিৎসার নামে ব্যাবসাকে মজবুত করতে বিভিন্ন অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন কথিত ডাক্তার খলিলুর রহমান। ইতিপূর্বেও তাকে একাধিকবার আটক ও ক্লিনিকটি সিলগালা করা হলেও স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তির প্রচেষ্টায় তিনি আইনের হাত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় তার ব্যবসা চালিয়ে আসছেন ।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, প্রকৃত চিকিৎসক না এনে তিনি নিজেই যাবতীয় চিকিৎসা ও অস্ত্রপাচার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে কিছু দিন আগে সাপ্তাহিক চলনবিলের আলোতে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এর পরেয় অভিযানটি পরিচালিত হলো। এলাকার সচেতন মহলের মতে, স্থানীয় কেউ তাকে ক্লিনিক করার মতো উপযুক্ত ভবন ভাড়া না দিলে তিনি এমনিতেই তার ব্যবসা গুটিয়ে নিবেন। এক্ষেত্রে ঐ ক্লিনিক ভবনের মালিকও অনেকটা দায়ী বলে মনে করেন সচেতন মহল। যশোরের এসি ল্যান্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসেন, ডাঃ গুলশানা রহমান, ডাঃ ফিরোজ মাহমুদ, পেশকার নাজমুল ইসলাম, কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোঃ শাহজুল ইসলাম অভিযানটি পরিচালনা করেন। এসময় বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান (রাসেল), ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন -সহ স্থানীয় বিভিন্ন সচেতন মহল উপস্থিত ছিলেন।