সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
পাবনায় মাছভর্তি গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যাক্তি নি*হ*ত, আ*হ*ত ১ জন  বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী বিভিন্ন কিন্ডারগার্ডেন ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দক্ষিণ সুলতানপুর স: প্রা: বি: ভর্তি দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার অভিযোগ  পাকুন্দিয়ায় তিন দিনব্যাপী তরুণ নেতৃত্ব বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন সেরা সংগঠন সম্মাননা পেল বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ পরিষদ (বিএসএসকেপি) চাটমোহরে মাদ্রাসার সুপারকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন নাগরপুরে ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ দুই চোর গ্রেফতার ভূঞাপুরে রাতের আধারে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি, অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন

যশোরের আলোচিত যুবলীগ নেতা আলমগীর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছয় বছর পর আটক

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০, ৭:০৫ অপরাহ্ণ

মোঃকামাল হোসেন যশোর থেকে:

যশোরের আলোচিত যুবলীগ নেতা আলমগীর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফসিয়ার রহমানকে ছয় বছর পর আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার কাজীপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে। আটক ফসিয়ার রহমান কাজীপুর গ্রামের হাতেম আলী গাজীর ছেলে। সদর উপজেলা যুবলীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আলমগীরের হত্যাকা-ের প্রধান চারজনের একজন এই ফসিয়ার রহমান। দীর্ঘ ৬ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না। এদিকে, আলমগীর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা অপর তিন প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম বিসমিল্লাহ, মহিদুল ইসলাম ও মহব্বত আলী এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ, এলাকাবাসী ও স্বজনদের সূত্র মতে, ২০১৪ সালের ২৫ মে রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার রাজারহাট বাজারে অবস্থানকালে যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।

 

রামনগর গ্রামের বাসিন্দা রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হাসান, শাহিন ওরফে পাগলা শাহিন, মহব্বত আলী, রফিকুল ইসলাম ওরফে বিসমিল্লাহ, অ্যাডভোকেট টিএম ওমর ফারুক, রামনগর পুকুরকুল এলাকার সুমন হোসেন ওরফে পাটালি সুমন, মানিক, রাকিব, রামনগর ধোপাপাড়ার আকাশ, একই এলাকার খাঁ-পাড়ার নাজমুল ইসলাম, মুরাদ, আহাদ, আফজাল, ওমর আলী, কাজীপুর গ্রামের ফসিয়ার রহমান গাজী, শফিক ওরফে শফিকুল, তরিকুল ইসলাম ও তফিকুল ইসলাম, সিদ্দিক, মুরাদ হোসেন ও ফরহাদ হোসেন, মহিদুল ইসলাম, আব্দুল জলিল ও তার দুই ছেলে আলম এবং আলিম, আব্দুল জব্বার খান, মফিজ, জিয়াউর রহমান, সুজন হাসান, শেখ রাসেল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত ও শরফত হোসেন, আব্দুল গফুর, আকরামুল ইসলাম, শওকত হোসেন, শরিফুল ইসলাম মিন্টু, মিলন হোসেন, মুড়োলি খা’পাড়ার বিল্লাল হোসেন এবং মোশারেফ হোসেনসহ ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে অস্ত্র, গুলি ও বোমা নিয়ে অতর্কিতভাবে আলমগীরের উপর হামলা চালায়। তাকে গুলি করে ও বোমা হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে। প্রথমে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১৮ জুন তিনি মারা যান।

 

এই ঘটনায় মৃত্যুর আগে তার বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানা এবং পরে ডিবি পুলিশের এসআই আবুল খায়ের মোল্যা মামলাটি তদন্ত শেষে ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এদিকে, হত্যাকা-ের পর ছয় বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ কারণে এ আলমগীর হত্যাকা-ের বিচার পাওয়া নিয়ে পরিবারের মধ্যে সংশয় রয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার ভোর রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আনসারুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফসিয়ারকে আটকের জন্য অভিযান চালান।

 

পুলিশের উপস্থিতি টের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। রাতেই আটকের পর তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। আর এদিনই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও এই মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম বিসমিল্লাহ, মহব্বত আলী ও মহিদুল ইসলাম এখনো পলাতক রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর