পাবনার ফরিদপুরে অপরিকল্পিতভাবে আবাদি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন এবং বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুকুর খননের ফলে এ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে প্রায় ৩ বিঘা আবাদি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু অংশ খনন করে ফেলেছে। সেখানে কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত (কুত্তাগাড়ি) ট্রলি দিয়ে মাটি বহন করা হচ্ছে। খননকৃত মাটি ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তা বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রলি চলাচল করায় ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা।
ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায়। গাড়ীগুলো চালাতে দেখা যায় অধিকাংশই অপ্রাপ্ত চালক। যাদের বয়স পনের থেকে বিশের মধ্যে। এদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ি চালানোর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিথুলিয়া গ্রামের মৃত আজিজল হকের ছেলে ধলা মোল্লা ও মৃত আঃ সরদারের আঃ মমিন মোল্লা নামের দুই ব্যক্তি অনুমোদন ছাড়াই আবাদি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন। এছাড়াও একই ইউনিয়নের বেরহাউলিয়া উত্তরপাড়া এলাকা থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে। তবে এসব পুকুর খননের কোন অনুমোদনও নেই বলে জানা গেছে।
পুকুর খননকারী আঃ মমিন মোল্লা বলেন, পুকুর খনন করার জন্য আবেদন করেছি। তবে অনুমুতি পেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ শিরিন সুলতানা বলেন, শিগগিরই জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দেশনেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বলেছেন, তিন ফসলি জমি নষ্ট এবং কোন প্রকল্প নেয়া যাবে না। এ বিষয়ে কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। পুকুর খনন বন্ধে সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।