মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
চাটমোহরে মানব সেবা অভিযানে গাছ বিতরণ ও অনুদান প্রদান রাণীনগরে সালিশে হাজির না হওয়ায় বাড়িতে হামলা: ভাঙচুর তালাবদ্ধ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও রিজু তামান্না ভূমিসেবা পেতে সরকারি খরচ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নিলে কঠোর ব্যবস্হা, হুশিয়ারি জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সাতক্ষীরা টিটিসিতে মানবপাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত রাণীনগরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধ*র্ষ*ণ*চেষ্টা: অভিযুক্ত অধরা পাকুন্দিয়ায় আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত অভয়নগরে ভয়াবহ মাদকের ছড়াছড়ি, বাড়ছে চুরি ছিনতাইসহ নানামুখী অপরাধ

চাটমোহরে খাদ্যগুদামে ১ কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি

রাজিব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

পাবনার চাটমোহরে সরকারি খাদ্যগুদামে এবার ৬৫৯ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান ও চাল সংগ্রহের সময়সিমা ২৮ ফেব্রুয়ারি থাকলেও এর বিপরীতে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত উপজেলার খাদ্য গুদামে ১ কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি।

চাটমোহর উপজেলার কয়েজন কৃষক বলেন, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান নিয়ে আবার ফেরত আসতে হয়। তখন অতিরিক্ত পরিবহন খরচ গুনতে হয়। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। তারা আরো বলেন, সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৮ এবং চাল ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে বিক্রি করলে ভালো দাম পাচ্ছি।

চাটমোহর উপজেলায় ৬৬ টি মিল থাকলেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মাত্র ২টি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিল মালিক বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারেই ধান ও চালের মূল্য বেশি। বাজারে পর্যাপ্ত ধানও নেই। বেশি দামে ধান কিনে গুদামে কম দামে চাল সরবরাহ করবো কীভাবে। এছাড়া ধান ও চালের মানের বিষয়ে কড়াকড়ি ও গুদামে ধান চাল দিলেও টাকা তুলতে সময় লাগে। টাকা পাওয়া নিয়ে ব্যাংকে ঘোরাঘুরিসহ বিভিন্ন ঝামেলার কারনে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নান জানান, এ বছর আমন মৌসুমে ৫৬৯ মেট্রিক টন চাল এবং ৬৫৯ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই মাসে ১ কেজি ধান ও চাল কিনা সম্ভব হয়নি। বর্তমান বাজার দরের চেয়ে সরকারি দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা কম হওয়ায় কৃষকরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয় ও পেমেন্ট উঠাতে পারেন তাই এখানে আমাদের কোনো অনিয়ম নেই। আমরা ধান-চাল সংগ্রহে ও সরকারের সকল লক্ষ্য পূরণে সম্পূর্ণ আন্তরিক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর