সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

তিন মাসেও গ্রেফতার হয়নি ভাঙ্গুড়ার সাংবাদিক আপনের ওপর হামলাকারীরা

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৩৪ অপরাহ্ণ
ফাইল ছবি: আহত সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম আপন।

দীর্ঘ তিন মাস অতিবাহিত হলেও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রতিদিনের সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক চলনবিলের আলোর বার্তা সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আপনের ওপর হামলা এবং তাকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়াসহ পাবনায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

হামলার শিকার সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম আপন বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে একটি গোষ্ঠী আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির অর্থের ও ক্ষমতার বিনিময়ে কয়েক জন ক্যাডারকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবে সহকর্মীদের সাথে মিটিং শেষে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মোটরসাইকেলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ভাঙ্গুড়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নির্জন কলকতি ঘাট এলাকায় পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ জন দুর্বৃত্ত আপনের পথরোধ করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ব্যাপক মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ওই রাস্তায় চলাচলকারী একজন ভ্যানচালক তাকে দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীদের খবর দিলে এলাকাবাসী আপনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা মুমূর্ষ হওয়ায় তাৎক্ষণিক আপনকে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার কৌশিক খান। কয়েক দিন পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ভাঙ্গুড়া থানায় হামলাকারিদের প্রধান সোহেলসহ ৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে হামলার পর পরই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাব, অনলাইন প্রেস ক্লাব, রিপোর্টাস ইউনিটি ও বাংলাদেশ মফস্বল ফোরাম উপজেলা শাখা এবং স্থানীয় সকল সাংবাদিকরা ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেন। এসময় ভাঙ্গুড়া থানা প্রশসন দ্রুততম সময়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু আজও সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হামলাকারির দলপতি সোহেল ১ নং ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক টুকুনের ভাতিজা হওয়ায় তাকে যেন গ্রেফতার করা না হয় সেজন্য প্রভাবশালী একটি মহল পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। ফলে পুলিশ হামলাকারি সোহেল পলাতক আছে বলে জানায়। মামলার ৭ দিন পর সোহেল আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে। এতে করে অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচজন আসামি রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এদিকে, সাংবাদিক আপনের ওপর হামলায় জড়িতদের এতোদিনেও গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ভাঙ্গুড়াসহ পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, এ মামলার এখনো তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com