মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
চাটমোহরে মানব সেবা অভিযানে গাছ বিতরণ ও অনুদান প্রদান রাণীনগরে সালিশে হাজির না হওয়ায় বাড়িতে হামলা: ভাঙচুর তালাবদ্ধ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও রিজু তামান্না ভূমিসেবা পেতে সরকারি খরচ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নিলে কঠোর ব্যবস্হা, হুশিয়ারি জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সাতক্ষীরা টিটিসিতে মানবপাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত রাণীনগরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধ*র্ষ*ণ*চেষ্টা: অভিযুক্ত অধরা পাকুন্দিয়ায় আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত অভয়নগরে ভয়াবহ মাদকের ছড়াছড়ি, বাড়ছে চুরি ছিনতাইসহ নানামুখী অপরাধ

চাটমোহরে কচুরিপানার ফুলে ছড়াচ্ছে প্রকৃতির মুগ্ধতা

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত সাধারণ একটি জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা। বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক এলাকায় নদ-নদী, পুকুর, জলাশয়, হাওয়র বা নিম্মাঞ্চলে সচরাচর কচুরি পানা দেখতে পাওয়া যায়। এটি একটি বহু-বর্ষজীবী ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। কচুরি পানা মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। পুরু, চকচকে এবং ডিম্বাকৃতির পাতাবিশিষ্ট কচুরিপানা পানির উপরিপৃষ্ঠের ওপর ১ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর কান্ড থেকে দীর্ঘ, তন্ত্রময়, বহুধাবিভক্ত মূল বের হয় যার রং বেগুনি-কালো। একটি পুষ্পবৃন্ত থেকে ৮-১৫ টি আকর্ষণীয় ৬ টি পাঁপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়।
কচুরিপানা খুবই দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে যা ২৫ থেকে ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে। কচুরিপানা খুবদ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রায় দুসপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
বাংলাদেশে প্রায় সাত প্রজাতির কচুরি দেখতে পাওয়া যায়। কচুরি পানা দেখতে গাঢ় সবুজ হলেও এর ফুলগুলো সাদা পাপড়ির মধ্যে বেগুনি ছোপযুক্ত এবং মাঝখানে হলুদ ফোঁটা থাকে। সাদা পাপড়ির স্থলে কোথাও হালকা আকাশি পাপড়িও দেখতে পাওয়া যায়। পাপড়িগুলোর মাঝখানে পুংকেশর দেখতে পাওয়া যায়। পুরোপুরি ফুল ফোটার আগে একে দেখতে অনেকটা নলাকার দেখায়। এলাকাভিত্তিক অনেকে একে একেক নামে চিনে থাকে। প্রায় সারা বছরই কচুরি ফুল ফুটতে দেখা যায়। কচুরি ফুলের মুগ্ধতায় আমাদের মধ্যে প্রকৃতি প্রেম জাগ্রত করে।
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বিস্তীর্ণ জলাশয় রামের বিল ও বাঘমারা মাঠে ফুটে আছে রাশি রাশি কচুরি ফুল। দেখে মনে হচ্ছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। ফুলটি কোনো সুবাস না ছড়ালেও এর নান্দনিক রূপে মুগ্ধ এলাকাবাসী।
কৃষিবিদ সাইদুর রহমান সাইদ বলেন,। কচুরিপানা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে হলেও কৃষিক্ষেত্রে এর যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। মাটিতে শক্তি যোগাতে ভূমিকা রাখে কচুরিপানা। কৃষকেরা কচুরিপানা উঠিয়ে জুমিতে ফলানো আলু, পটলসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যবহার করছেন কচুরিপানা। সেই সাথে কচুরিপানা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কচুরিপানা থেকে এখন তৈরি হচ্ছে জৈব সার।
তিনি আরো বলেন, কৃষকদের কচুরিপানা থেকে জৈবসার উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দিলে জৈবসার ব্যবহারে কৃষক উপকৃত হবে, অপরদিকে বিদেশের রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর