মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর:
আল্লাহ তায়ালা মানব জাতি সৃষ্টি করিবার মানসে হযরত আদম (আ) ও বিবি হাওয়াকে সৃষ্টি করিয়া তাহাদেরকে পরম সুকে মনের আনন্দে বেহেশতের মধ্যে বসবাস করিবার হুকুম দিয়াছিলেন। আর তাহার স্বামী-স্ত্রীরুপে দাম্পত্য জীবনের যাবতীয় সুখ সম্ভোগ ভোগ করিবার সুযোগ পাইলেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্য ছিল অন্যরূপ অর্থাৎ তাহাদেরকে পার্থিব জীবন যাপন করিবার জন্য পৃথিবীরতে পাঠাইবেন। সেই উদ্দেশে হযরত (আঃ) আর বিবি হাওয়াকে বেহেশতের মাঝে সর্বত্র যাইতে আর সব কিছু খাইতে আদেশ করিয়াছেন কিন্তু গন্ধম বৃক্ষের নিকট যাইতে ও উহার ফল খাইতে নিষেধ করিয়া ছিলেন।
কিন্তু বিবি হাওয়া (আঃ) শয়তানের কুমন্ত্রণায় উক্ত গন্ধম বৃক্ষের কষ বাহির হওয়ায় উক্ত বৃক্ষ দুঃখ পাইয়া আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করিয়াছিল। হে আল্লাহ যে ব্যক্তি আমার দেহ হইতে কষ বাহির করাইয়াছে,তুমি তাহার দেহ হইতে উক্তরুপ কষ বাহির করাইও।
আল্লাহ তায়ালা উক্ত বৃক্ষের প্রার্থনা কবুল করিবার ফলে নারীজাতির দেহ হইতে রক্ত ঝরাইয়া মাসিক ঋতুর নিয়ম জারী করিয়াছেন।
ঋতুর পরিচয়:
নারীদের জরায়ু যৌনাঙ্গের রাস্তাদিয়া প্রতি মাসে যে রক্ত বাহির হইয়া থাকে উহাকেই ঋতুস্রাব বা হায়েজ বলা হয়।
নারীদের এই স্রাব হওয়া মাত্র তাহারা পূর্ণ যৌবনত্ত্বে পদার্পণ করে এবং সাবালিকা হইয়া থাকে। এই ঋতুর সময়কাল হইতেছে নয় বৎসর বয়স হইতে তেষট্টি বৎসর বয়স পর্যন্ত। ইহার পূর্বে ও পরে রক্তস্রাব হইলেও উহা মাসিক ঋতু স্রাব বা হায়েজ বলিয়া গন্য হইবে না। উহাকে রোগ বলিয়া জানিতে হইবে।
ঋতুর সর্বনিম্ন মুদ্দত তিন দিন এবং সর্বোচ্চ দশ দিন। ঋতুর রং ছয় প্রকার যথা-লাল,কাল,সবুজ,হলুদ,মেটেলাল,ও গোলাপী লাল। যদি সাদা রং এর স্রাব হয় উহা ঋতুর মধ্যে ধরা হইবে না।
শুক্র বা বীর্যের পরিচয়
মানুষ জাতি যে সমস্ত উপাদেয় খাদ্য সামগ্রী আহার করিয়া থাকে, উহা হজম বা পরিপাক হইয়া দেহে রক্ত উৎপন্ন করে। এই রক্ত দ্বারাই বীর্য বা শুক্র তৈরী হইয়া থাকে, আর ইহাই মানুষের শরীরে শক্তি সঞ্চার করিয়া থাকে। যৌন বিজ্ঞানীদের মতে ৬০ ফোটা রক্ত দ্বারা এক ফোটা বীর্য বা শুক্র সৃষ্টি হইয়া থাকে।
মানুষের শরীরে পরিমিত শুক্র না থাকিলে মানুষ রোগা শক্তিহীন হইয়া অকর্মন হইয়া থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ এই বীর্য বা শুক্রকে দেহের রাজা বলিয়া থাকে। এই শুক্রের মাধ্যমেই মানুষ জাতির শরীরের যৌনোত্তেজনার সৃষ্টি হইয়া থাকে।
শুক্রের ক্রিয়ার পরিচয়
পুরুষ ও মেয়ে লোকের শুক্রের মধ্যে পার্থক্য আছে। পুরুষের শুক্র সাদা ও ঘন হইয়া থাকে, আর মেয়েলোকের শুক্র তরল ও হলুদ বর্ণ হইয়া থাকে।
পুরুষ লোক সাবালকত্ব লাভের পর অন্ডকোষের মধ্যে আঠারমত এক প্রকার লালা জন্মিয়া থাকে। স্ত্রীর- সহবাসের সময় স্বামীর শুক্রের সহিত উক্ত লালা মিশ্রিত হইয়া স্ত্রীর জরায়ুর মধ্যে প্রবেশ করিয়া সন্তানের জন্ম হইয়া থাকে।
যে সমস্ত পুরুষের শরীরে উক্ত লালা জাতীয় বস্তু থাকেনা তাহাদের স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে সন্তান জন্মে না। আর যে সমস্ত স্ত্রীলোকের ডিম্বকোষ নাই, তাহাদেরও সন্তান জন্ম হয় না।
প্রচারেঃ
শুভ সাংস্কৃতিক নিকেতন