জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সমাবেশ আর বড় শো-ডাউন করে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এর ফলে চাঙা হয়ে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি।
রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে তর্ক-বিতর্কে উত্তাল গ্রাম-গঞ্জের বাজার ও পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান। এ থেকে পিছিয়ে নেই রাজশাহীও। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের সক্রিয়তায় উত্তপ্ত হচ্ছে রাজশাহীর রাজনীতির মাঠও।
নির্বাচনের এক বছর আগেই প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বড় সমাবেশ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। রাজনীতিতে সমাবেশমুখিতার সূত্রপাত গত ৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে। ওই দিন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারসহ নানা দাবিতে চট্টগ্রামে বড় সমাবেশ করে দলটি। এর পর ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে সমাবেশ করে তারা।
যার ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে বিএনপি। ইতোমধ্যে সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি করে নেতাদের দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সমাবেশ হলেও দুইদিন আগে ১ ডিসেম্বর থেকে জমায়েত শুরুর প্রস্তুতি রেখেছে এক যুগের বেশী সময় ধরে ক্ষমাতার বাইরে থাকা দলটি।
তবে বসে নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির সমাবেশের পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক কর্মসূচিগুলোতেও ব্যাপক লোকসমাগম হচ্ছে। চলমান বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলনগুলোতে শো-ডাউন দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগে দুইটি বড় শো-ডাউন দিতে চায় তারা।
যার মধ্যে আগামী ২১ নভেম্বর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে মাঠে নামতে চায় রাজশাহী আওয়ামী লীগ। এর পর ১ ডিসেম্বর বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে বিজয় শোভাযাত্রা ও বিজয় সমাবেশ করে বড় শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে সাংগঠনিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এ কর্মসূচি বিএনপির কর্মসূচির পাল্টাপাল্টি নয়। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবে। সমাবেশের নামে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তা প্রতিহত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের কর্মসূচী আগে থেকেই নির্ধারণ ছিল। আর প্রতিবছরই আমরা বিজয় মাসের প্রথম দিনে বিজয় র্যালী ও বিজয় সমাবেশ করে থাকি। এবারও আমরা বৃহৎ আকারে বিজয় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মীসূচিতে গণসমাবেশে কোন প্রভাব পড়বে না। এছাড়াও বাধা দিয়েও বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকা যাবে না। ৩ ডিসেম্বর ১০ থেকে ১২ লাখ লোকের জমায়েত হবে রাজশাহীতে।
তিনি বলেন, সমাবেশের দুইদিন আগে ১ ডিসেম্বর থেকে জমায়েত শুরু হবে। এ জন্য নেতাকর্মীদের থাকা খাওয়া, পানি, টয়লেট ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান এই বিএনপি নেতা।