মাত্র ১ মিনিট সময়ের মধ্যেই ১২ হাতের শাড়ি পরে দেখিয়ে দিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। চ্যালেঞ্জ ছিল এক মিনিটে শাড়ি পরতে হবে! আর ক্যামেরার সামনে সেই কাজটি করে দেখালেন স্বস্তিকা। পরে নিজেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন সেই ভিডিও।
স্বস্তিকা পরেছেন হলুদ রঙে কাজ করা গর্জাস ব্লাউজ, সঙ্গে ঘিয়ে রঙের শাড়িতে নীল মোটিফ। হাতে পরেছেন কাচের চুড়ি। গলায় হাল ফ্যাশনের হার, আর নাকে নথ। ব্লাউজ ও পেটিকোট আগে থেকে পরে তৈরি হয়েই ছিলেন। কাউন্ট ডাউন শুরু হতেই তড়িঘড়ি শাড়ি পরা শুরু করে দেন স্বস্তিকা। নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করে ফেলেন শাড়ি পরা। তারপর আয়নায় সামনে বসে পোজ দিয়ে ছবিও তোলেন। বুঝিয়ে দেন সবকিছুতেই তিনি অনন্যা। ফেসবুক ওই রিলস ভিডিও শেয়ার করে স্বস্তিকা জানান, তিনি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন।
কিছুদিন আগে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এবং তার দেওয়া চকোলেট নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বহু নেটনাগরিকের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। এমনকি কেউ কেউ অভিনেত্রীকে ‘চটিচাটা’, ‘মেরুদণ্ডহীন’, ‘বিকিয়ে গিয়েছেন’ বলে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। কেউ লেখেন, আপনিও চটিচাটা হয়ে গেলেন, আমরা আপনাকে প্রতিবাদ মুখ ভাবতাম। তেলটা মারতেই হলো’। কেউ লেখেন, আমরা ভাবতাম, আপনার সাহস আছে। এক ব্যক্তি লিখেছেন, লজ্জাবোধ নেই। চোরেদের নেত্রীর সঙ্গে বসছেন।
স্বস্তিকা অবশ্য তখনই সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে লিখেছিলেন, বসিনি দাদা, শুভ বিজয়া বলে নমস্কার করে চলে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী বলে কথা, কতবছর পর দেখা হল, নমস্কারটুকু তো করব। কেউ আবার লিখেছিলেন, দিদি, টেট এর ধরনা মঞ্চে গিয়ে পুজার আনোনদো থেকে অনেক দূরে থাকা মানুষ গুলোর পাশে থাকলে বেশি ভালো বাসা পেতেন। অবশ্যই এটা আপনার ব্যাক্তিগত চয়েস। তার উত্তরও দিয়েছিলেন স্বস্তিকা।
এই অভিনেত্রী বলেছেন, আমি মানুষের পাশে যেভাবে থাকার ঠিকই থাকি, সবটা তো ফেসবুকে পোস্ট হয় না, তাই জানতে পারেন না, আর জানানোরও প্রয়োজন বোধ করি না। তাই বলে এত বড় একটা উদযাপন সেখানে হাজার হাজার মানুষ গেছেন, আমার যাওয়াটা ভুল মানতে পারলাম না। আমাদের রাজ্যের অনেক মানুষ ওখানে গেছে ঠাকুর দেখতে। আমিও গেছি। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি ঢোকানোর দরকার নেই।’ সাফ জানিয়েছিলেন, ‘চকোলেট নিয়েছি, ঘুষ তো নিইনি।