বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

পাবনার আটঘরিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের যাবজ্জীবন’ ১ লাখ টাকা জরিমানা 

আটঘরিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৫৯ অপরাহ্ণ

পাবনার আটঘরিয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

 

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর খন্দকার আব্দুর রকিব এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল আহাদ বাবু ও তৌফিক ইমাম খান।

 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আটঘরিয়ার গোপালপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), আবু বকর শেখের ছেলে লিটন শেখ (২৯), তামেজ শেখের ছেলে আব্দুল্লা মেম্বার (৩৩), মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে খোয়াজ শেখ (৪০) এবং আব্দুস সালাম শেখের ছেলে আজমত শেখ (৩২)। রায় ঘোষণার সময় আব্দুল্লাহ মেম্বার ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখে নিহত গৃহবধূর ছেলে তাকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী গোপালপুরের কাজির বাজারে যায়। এরপর রাতে বাড়িতে এসে দেখেন মা নেই। তখন তিনি মনে করেন তার মা হয়তো নানির বাড়ি গেছে। রাতের মধ্যে বাড়িতে ফিরবে ভেবে খাবার খেয়ে দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, মা বাড়িতে আসে নাই। তখন মামা বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায়।

 

এরপর আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায় না। ঘটনার তিন দিন পর প্রতিবেশীর হলুদের খেতে লিচু গাছের সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করে। মামলার এজাহারে তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ রয়েছে।

 

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিদ্দিক প্রামানিক বাদী হয়ে ঘটনার ৪ দিন পর ১২ সেপ্টেম্বর আটঘরিয়া থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হলো। মামলার অপর দুই আসামি জিন্নাহ আলী ও আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটা একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ধর্ষণের পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ হলুদের খেতে লিচুগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।

 

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর