কে,এম আল আমিন :
করোনায় কর্মহীন আর এলাকার দর্শকদের উপস্থিতিতে সিরাজগন্জের সলঙ্গা থানার বওলাতলা উন্মুক্ত মাঠে শিশু – কিশোর সহ ক্রীড়ামোদীদের ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবহমান গ্রাম বাংলার শিশু – কিশোর সহ নানা বয়সের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের শখ আর বিনোদনের নাম ছিল ঘুড়ি উড়ান বা ঘুন্নি উড়ান। বর্ষা ঋতুর শুরুতে অবসরে বাড়ির পার্শ্বে,জমির আইল, বিল বা নদীর ধারে দল বেঁধে ঘুড়ি উড়ানো ছিল পুরনো দিনের শখ। তারই ধারাবাহিকতায় আজও বিভিন্ন এলাকায় এমন বিনোদন করার প্রচলনটি চালু রয়েছে। দেশে মহামারী করোনায় যখন মানুষ কর্মহীন,বন্ধ যখন বিনোদন পার্ক, শিশু- কিশোরদের যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বের হওয়া যাচ্ছে না কোথাও,ঠিক এমনি সময়ে একটু আনন্দের জন্য অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে ঘুড়ি উড়ানোর খেলায় বেশী মেতেছে তারা। দুপুর পর থেকে রাত অবধি পর্যন্ত সলঙ্গার নীল আকাশে বিভিন্ন রঙের,বিভিন্ন নামের ঘুড়ি উড়ানোর ধুম পড়ে যায়। ঘুড়ি তৈরী ও ঘুড়ি ব্যবসায়ীদের এবার কপাল খুলেছে বলে তারা জানান।
কয়ড়া,গুড্ডি,চিলা,চং,সাপ,রকেট,মানুষ,লন্ডন,নৌকা সহ বিভিন্ন নামের ঘুড়ি উড়ছে আকাশে। তাই তো বওলাতলা গ্রামের যুব সমাজের আয়োজনে আজ শুক্রবার ( ১০ জুলাই) বেলা ২ টা হতে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় এ প্রতিযোগীতা সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে । ঘুড়ি উড়ান প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে এস,এম সৈকত ইসলাম আইয়ুবের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সলঙ্গা ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আশরাফুল ইসলাম ছানোয়ার, সাধারন বীমা (ঢাকা অফিস) করপোরেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক নেওয়াজ শরীফ পুলক, ধুবিল ইউনিয়ন আওয়ামী যুব লীগের আহবায়ক,সাংবাদিক আনিছুর রহমান,সলঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি মাহমুদুল আলম রাসেল,পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম রাজু,ধুবিল আয়শা ফজলার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক হোসেন আলী, ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হাসান সরকার সহ অন্যান্য সম্মানীত অতিথিবৃন্দ।