নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের চকরিয়া এবং পাশের পেকুয়া, মাতামুহুরী ও লামা উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহকরা আগামী (১০ থেকে ১৪ জুলাই) টানা ৪দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ঘন্টা বিদ্যুৎ সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবেন। দোহাজারি-ঘুমঘুম রেলওয়ের লাইনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিডি) লাইনে মাতারবাড়ি গ্রিডে মেরামত ও সংরক্ষণের কাজ করবে সংশ্লিষ্টরা। সঞ্চালন লাইনের মেরামতের কারণে পল্লী বিদ্যুৎতের আওতাধীন চকরিয়া, পেকুয়া, মাতামুহুরী ও লামা উপজেলার আংশিক গ্রাহকরা সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মাতারবাড়ি গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময়ে চকরিয়া, পেকুয়া, মাতামুহুরী ও লামা এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎতের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা সাময়িক বন্ধ থাকবেন। তবে কক্সবাজার গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সেবা চালু করলেও তখনও লোডশেডিং হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্যানেল চেয়ারম্যান এবং চকরিয়া জোনাল অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন চকরিয়া, পেকুয়া, মাতামুহুরী ও বান্দরবানের লামার আংশিক অংশের পরিচালক আলহাজ মো.হায়দার আলী। পল্লী বিদ্যুতের প্যানেল চেয়ারম্যান হায়দার আলী বলেন, ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ। চকরিয়া, পেকুয়া, মাতামুহুরী ও লামা এলাকায় উক্ত সময়ে বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ ও লোডশেডিং থাকিবে। যখন বিদ্যুৎতের লাইন পুরোপুরি চালু হবে তখনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করার অনুরোধ করছি। সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।’
জানতে চাইলে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চকরিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোছাদ্দেকুর রহমান বলেন, ‘দোহাজারি-ঘুমঘুম রেলওয়ের আশপাশে প্রায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিডি) লাইন রয়েছে। ১০-১৪জুলাই টানা চারদিন এসব লাইন সরানো ও সংস্কার করা হবে।’ সেইজন্য প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ঘন্টা বিদ্যুৎ সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবেন পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহকরা । তিনি বলেন, ‘গ্রাহককে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা কক্সবাজার গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সেবা দিতে চেষ্টা করব । তবে তখনও লোডশেডিং হতে পারে।