রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথি রেজি. সনদে ডা. উপাধি লেখা

ডা.এম.এ.মান্নান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:২৭ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান সহ বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী ডা. উপাধি লিখে আসছে ও বাংলাদেশ বাদে প্রায় সকল দেশে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল আছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান সহ বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের পেশার আইনগত রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটেও ডা. উপাধি লেখা আছে।
বাংলাদেশে ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ হতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ আইনগতভাবে ডা. উপাধি ব্যবহার করে আসছে (পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে পাসকৃত আইন দ্যা ইউনানী, আয়ুর্বেদিক এন্ড হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স এ্যাক্ট- ১৯৬৫, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এর ৩৩ যা পরবর্তীতে গণতান্ত্রীক সরকারের সময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত ২০১৩ সালের ৭নং আইন এর ২৮নং আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এর ৩৩, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংজ্ঞা-১২, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ এর ২৩/১, বিধিবিধান সহ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় জারিকৃত বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন/অফিস আদেশ/স্মারকপত্রের আলোকে সরকার স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী রেজিস্টার্ড চিকিৎসকগণ ডা. উপাধি লিখে আসছে)।
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল নেই। এজন্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩ (বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গণতান্ত্রীক সরকার কর্তৃক ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ণরায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত ২০১৩ সালের ৭নং আইন এর ২৮নং আইন “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩”) আইনে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি বিষয়ক একমাত্র সংবিধিবদ্ধ, সংবিধানিক, স্বশাসিত, রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও হোমিওপ্যাথি বোর্ডের রেজিস্ট্রারকে ক্ষমতা প্রদান করে জাতীয় সংসদ আইন পাস করেছিল, যখন বাংলাদেশে জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হবে তখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল ও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান করবে।
বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর হোমিওপ্যাথি বিষয়ক চিকিৎসা ও চিকিৎসা শিক্ষা এবং রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ সংবিধিবদ্ধ, স্বশাসিত, সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এবং চালু হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা কোর্স। বর্তমান সরকারের প্রশাসনে উচ্চ পর্যায়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি পাস রয়েছে।
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর