শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জে জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক একরামুল হক সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এঘটনায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ নেতা একরামুল হক বিজয়ের মৃত্যুর ঘটনার জের ধরে আজ সোমবার বিকেলে শহরের এসএস রোডে এই সংঘর্ষ বাঁধে। দলীয় নেতাকর্মী সুত্রে জানা যায়, সদ্য প্রয়াত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়ের রুহের মাগফেরাত কামনায় সোমবার বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
আসর নামাজ শেষ না হতেই দলীয় কার্যালয়ের পেছনে থাকা কতিপয় উশৃঙ্খলা নেতাকর্মীরা গোন্ডগোল শুরু করে। এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে লাঠি সোটা, ইট পাটকেল নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। দফায় দফায় এই সংঘর্ষে জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক একরামুল হক সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না সোমবার বিকেলে এনামুল হক বিজয়ের বাড়িতে গিয়ে বাবা, মা, ভাই, বোনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সরেজমিনে সাক্ষাৎ করে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এ হত্যা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এই সন্ত্রাসী হামলার সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে। জড়িত অপরাধীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন তিনি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফোরকান শিকদার সন্ধায় বলেন, দলীয় কার্যালয়ে সদ্য প্রয়াত জেলা ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের রুহের মাগফেরাত দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষ কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। প্রসঙ্গত: প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ নাসিমের দোয়া মাহফিলে যোগদান করতে এসে গত ২৬ জুন সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের হামলার শিকার হন ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়। গুররতর আহত বিজয়কে আহত অবস্থায় প্রথমে এনায়েতপুর, পরে তাকে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৯ দিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পর রোববার (৫ জুলাই) সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।