তথ্য সংগ্রহ মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর:
নওয়াপাড়া খ্যাত হলেও নাম অভয়নগর। কারণ থানা ছিল অভয়নগর গ্রামে। স্থাপন কাল ১৯৭৫ এর ১৬ মার্চ। অভয়নগরের ইতিহাসে দেখা যায় সপ্তম শতাব্দীতে খাজা খানজাহান আলী ও ইরানী পীরের মাধ্যমে এতদঞ্চলে মুসলমানদের আগমন ঘটে। তবে কালের পরিক্রমায় এক পর্যায়ে হিন্দু জমিদাররাই এ অঞ্চলের অধিপতি বনে যায়। ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, রাজাপ্রতাপাদিত্যের প্রধান দেওয়ান অভয়নগর অঞ্চলের প্রভাবশালী জমিদার হরিরাম মিত্রের বাসস্থান ছিল ভৈরব নদী তীরবর্তী অভয়নগর। প্রচলিত আছে এখানেই চাঁচড়ার রাজা নীলকন্ঠ রায়ের কন্যা অভয়ারানীর নাম ধরে এসেছে। রাজার জামাতা নীলম্বর রায়কে তালুকটি উপহার স্বরুপ প্রদান করেন। বৃটিশ ভারতে গ্রামাটি নগরের রুপ লাভ করে।
শিল্প শহর নওয়াপাড়া সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের অহংকার । ১৯৮৩ সালের ১লা আগষ্ট থানাটি উপজেলায় উন্নীত হয়। ইতিপূর্বে নওয়াপাড়ায় পুলিশ ফাড়ি ছিল। আয়তন-২৪৬ বর্গকিলোমিটার । জনসংখ্যা ১.৭৬ লক্ষ,লেদার-০১,পেপার -০১,ব্রাকেট – ০১, কার্পেট -০১,রাজস্ব ১১.০৬ লক্ষ, মৌজা-৮৯,তহশীল অফিস ০৮। প্রথম চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নূরুল হক,প্রথম নির্বাহী অফিসার জনাব শেখ শহীদুল্লাহ। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে যা অভয়নগর নামে পরিচিতি পেয়েছে। নদী তীরবর্তী অভয়নগরকে নিয়ে গড়ে উঠা ভৈরব উত্তর পূর্বাঞ্চলে তৎ কালীন জমিদারের বহু প্রাচীন স্থাপত্য ও নির্দশন চোখে পড়ে।
যার মধ্যে সিদ্দিপাশা জমিদার বাড়ি,অভয়নগরের ১১ শিব মন্দির, বাঘুটিয়ার জমিদার বাড়িও ভাটপাড়ার জগন্নাথ দেবের মন্দির উল্লেখ যোগ্য। জমিদারদের অর্থে নির্মিত না হলও উল্লেখ যোগ্য। জমিদারদের অর্থে নির্মিত না হলেও বাঘুটিয়ার সিংগাড়ী গ্রামে দত্তদের নিজেদের অর্থায়নে নির্মিত হয় একটি প্রাচীন দ্বিতল ভবনও কালী মন্দির জনশ্রুতি রয়েছে বাঘুটিয়ার জমিদাররা দত্তবাড়ি বসেই সিংগাড়ী ও এর আশেপাশের এলাকার খাজনা আদায় করত।