মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় অভিযুক্ত স্বীকার করলেও ঘটনার সত্যতা পাননি তদন্ত কর্মকর্তা!

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বুধবার, ৮ জুন, ২০২২, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রধানমন্ত্রীর হত দরিদ্রদের জন্য বিশেষ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী (ভিজিডি) কার্ডে টিপসই নিয়ে ভিজিডি কার্ডের চাউল না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মন্ডতোষ ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী ও সংশ্লিষ্ঠ ৬ নং ইউপি সদস্যের আরিফুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগের তদন্ত প্রায় ৩ মাস পরে সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গুড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাৎ জাহান তদন্তে ঘটনার কোনো সত্যতা পান নি মর্মে উল্লেখ করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মল্লিকচক গ্রামের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর খাদ্য বান্ধাব কর্মসূচী ভিজিডি হতদরিদ্র মোঃ আলমের স্ত্রী (১২৭) নং কার্ড ধারী মোছাঃ শাকিলা খাতুনের কাছ থেকে গত কয়েক মাস পূর্বে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম ও চেয়ারম্যান আফছার আলী। হতদরিদ্র কার্ড ধারী শাকিলা খাতুন তাদের (ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য) চাহিদা মাওফিক ৫ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পর ভিজিডি সুফল ভুগী অর্থাৎ কার্ড ধারী ইউনিয়ন পরিষদে চাউল আনতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলীর নির্দেশে ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম স্বপন কার্ডে টিপসই নিয়ে চাউল না দিয়েই কার্ড কেড়ে নিয়ে হত দরিদ্র শাকিলাকে অপমান অপদস্ত করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেন। এরপরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য স্থানীয় ভাবে ভিজিডি কার্ড ধারীকে মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেনের মাধ্যমে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে কার্ড ধারী শাকিলা ধার দেনা করে পরের দিন ইউপি চেয়ারম্যানকে ২ হাজার টাকা দিতে গেলে টাকা ৫ হাজারের কম হওয়ায় তা না নিয়ে আরো তাকে বলেন ৫ হাজার টাকার একটি পয়সা কম হলে কার্ড কেটে দেব। ৪ মাস পর শাকিলাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বইয়ে টিপসই নিয়ে তিন মাসের তিন বস্তা চাউল বিক্রি করে চাঁদার টাকা আদায় করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য। এ সময় ভুক্তভোগীর পরপর ৩ মাসের তিনটি স্বাক্ষর নিয়ে সঞ্চয়ের ২শত করে টাকা চাইলেও চাউল না পাওয়ায় ভুক্তভোগী সঞ্চয়ের টাকা জমা দেবনা বলে চলে আসেন।

এ ঘটনা বিবরণ জানিয়ে এ বছরের প্রথম দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার ও উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন সুফল ভোগী শাকিলা খাতুন। অভিযোগের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাৎ জাহানকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। আবেদনের প্রায় ৩মাস পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তার উর্ধতন কর্মকর্তা ইউএনও বরাবর। সেখানে ঘটনার কোন সতত্যা পাননি মর্মে উল্লেখ করেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ভিজিডি কর্মসূচীর সুফলভোগীর স্বামী আলম জানান, আজঅবধি ওই তিন বস্তা চাউল চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্য স্বপন কেহই তাদের দেননি।

এ বিষয়ে মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী বলেন, ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিল কার্ড ধারী শাকিলা ও তার পরিবার। কিন্তু তারা আমাকে টাকা দেয়নি। তাই আমার ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম স্বপন তিন মাসের তিন বস্তা চাউল বিক্রি করে টাকা আদায় করেছে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাৎ জাহান তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে ফোন রেখে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদ হাসান খাঁন বলেন, ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায় নি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী বলেছিলেন সেখানে সামান্য কিছু সমস্যা ছিল তা সমাধান করা হয়েছে।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর