মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর থেকে:
অভয়নগরের ঐতিহ্যবাহী দুইটি বিদ্যালয়ের আবারও সভাপতি মনোনীত হয়েছেন ইমদাদুল হক ইমু। তিনি এ দু’টি স্কুলেই প্রায় ১০ বছরের অধিক সময় যাবৎ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। শিক্ষা বিস্তারে তার অনন্য অবদান ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আস্থার প্রতিক ইমদাদুল হক ইমুকে তাই আবারও এ দু’টি বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো ঐতিহ্যবাহী শরখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নওয়াপাড়ার স্বনামধন্য আল হেলাল স্কুল। তিনি এ দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির পাশাপাশি অবকাঠামোগত ও ডিজিটালাইজেশনের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। ইমদাদুল হক ইমু অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কান্ডারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু প্রয়াত মকছেদ আলী ফারাজী ওরফে ফারাজী স্যারের দ্বিতীয় পুত্র এবং অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সফল পৌর মেয়র আলহাজ্ব এনামুল হক বাবুলের অনুজ ভ্রাতা।
পিতা ও বড় ভাইয়ের আদর্শে নিজেকে সামাজিক, শিক্ষা ও ব্যবসায়ীক অঙ্গনে বিস্তার ঘটিয়ে তিনি সমাজ উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ্য থাকলেও শিক্ষা ও সামাজিক অঙ্গনে রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। কেবল তাই নয় ২০০৯ সাল থেকে ঐতিহ্যবাহী নওয়াপাড়া ইনষ্টিটিউটের যুগ্ম সম্পাদকের চেয়ারটি অলংকৃত করে রেখেছেন তিনি। এছাড়া ২০০৮ সাল থেকে নওয়াপাড়া সার সমিতির যুগ্ম সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত থেকে নওয়াপাড়ার ব্যবসা-বাণিজ্যকে তরান্বিত করতে ভুমিকা রেখে চলেছেন তিনি। তিনি ২০০৮ সাল হতে ডিস্ট্রিক্ট ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে নিজেকে একজন দক্ষ ব্যবসায়ী নেতৃত্ব হিসেবে অলংকৃত করেছেন। নওয়াপাড়া নদী বন্দর উন্নয়ন ও খনন তদারকি কল্পে গঠিত আহবায়ক কমিটির তিনি সদস্য।
এছাড়া অসংখ্য শিক্ষা, সামাজিক, ব্যবসায়ীক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়েছে তার পদচারনা। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। তার বড় ছেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে বর্তমানে চিকিৎসক পেশায় নিয়োজিত আছেন। ছোট ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন।