বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন

ই-পেপার

চাটমোহরে শ্রমিক সংকটে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ধান

চলনবিলের আলো ডেস্কঃ
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২, ১:১৫ অপরাহ্ণ
পলিথিনের নৌকা বানিয়ে ধান পরিবহন।

চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে বোরো ধান কাটা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক। হাজার টাকাও মিলছেনা কৃষি শ্রমিক। মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ধান। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গুমানী ও চিকনাই সহ বিভিন্ন নদী হয়ে পানি ঢুকেছে চলনবিলে। পানিতে চাটমোহর উপজেলার প্রায় ৪শ বিঘা জমির পাকা ইরি-বোরো ধান ডুবে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বড়াল, গুমানী, চিকনাই নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানি থেকে ফসল রক্ষায় স্থানীয় কৃষকেরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে নদী ও বিলে বন্যার পানি ঢুকে উঠতি পাকা ধান ডুবে যায়। সারা বছরের খাওয়ার ধান ডুবে যাওয়ায় এ এলাকার কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। ধানের বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি কেড়ে নিছে আগাম বর্ষা। ধান কাটার ভরা মৌসুমে চড়া মজুরি দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। এতে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ধান। শ্রমিকের অভাবে কৃষক নিজেরাই পানিতে ডুবে থাকা ধান কেটে তোলার চেষ্টা করছেন। হঠাৎ বিলে পানি বৃদ্ধিতে নৌকা সংকটে পড়েছে কৃষক। অভিনব কৌশলে পলিথিনের নৌকা বানিয়ে ধান কেটে বিল পাড়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।
প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। সময় মতো ধান ঘরে তোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। উপজেলার খলিশাগাড়ি বিল, ডিকশি বিল, আফরার বিল, হান্ডিয়াল দরাপপুর, পাকপাড়া, নবীন ও নলডাঙ্গা বিলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ সোনালী ধান। পানিতেই ধান কাটছে কৃষক ও শ্রমিক। ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ও কৃষাণীরা।
হান্ডিয়াল এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম, আব্দুর রাহিম সহ অন্যরা বলেন, মাঠের অধিকাংশ ধান পেকে যাওয়ায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে যাচ্ছে পাকা ধান। এক হাজার টাকা মজুরী দিয়েও মিলছে না একজন শ্রমিক। অনেকেই জমির ধান কেটে অর্ধেক ধান শ্রমিককে দিচ্ছেন। কৃষক শরিফুল জানান, উজানের ঢলের কারণে নদী ও বিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর উপর ঝড়, বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ায় ধানের ক্ষতি হচ্ছে। চোখের সামনে পাকা ও আধাপাকা ধান পানিতে ডুবে ফসলহানী ঘটছে। ধানকাটা শ্রমিকের অভাবে তাদের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
কয়েক জন ধানকাটা শ্রমিক জানান, সব জিনিসের দাম বেশি, তাই মজুরিও বেশি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। মজুরি বেশি না নিলে সংসার চলবে কি করে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুমবিল্লাহ জানান, চাটমোহরে এবার প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে পাকা-আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। পানিতে ধানের জমি তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা। কৃষি শ্রমিকের চরম সংকট চলছে। বিলে বন্যার পানি ঢুকে বিল এলাকার প্রায় ৪‘শ বিঘা জমির ধান ডুবেছে বলে খবর পেয়েছি। ৪ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com