মো. স্বপন হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলাধীন নারান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সালমনি আক্তার মনি (১৪) ক্যান্সারে আক্রান্ত। উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের ছোট আজলদী গ্রামের দরিদ্র গাড়িচালক মো. নজরুল ইসলাম ও বীণা ইসলামের অত্যন্ত আদরের মেয়ে সে। একটি টিনশেড ঘরে বসবাস তাদের। সহায় সম্বল বলতে ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। তিন বোন এক ভাইয়ের সংসারে মনি দ্বিতীয়। কৈশোরের দুরন্তপনায় মেতে থাকার কথা থাকলেও বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে বিছানায়। ক্রমশ ফুলে উঠছে ডান পায়ের হাঁটু। ক্ষীণ হয়ে আসছে দৃষ্টি। পাশে বসে বিলাপ করছেন অসহায় মা। ‘আমার মনিকে বাঁচাতে চাই, মেয়ের কষ্ট আর সহ্য হয় না।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে বীণা ইসলাম জানায়, গত জানুয়ারি মাসে মেয়ের হাঁটু ফোলাসহ শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কামাল মানিক জানান তার মেয়ে মনির বোন ক্যান্সার হয়েছে। কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট এন্ড হাসপাতাল মহাখালীতে রেফার্ড করা হয়। গত (২৭ মে) সেখানে গিয়ে খুব কষ্টে চিকিৎসকের দেখা পেলেও করোনাভাইরাসের কারণে যথাযথ চিকিৎসা পাননি। রিপোর্ট দেখে বোন ক্যান্সার নিশ্চিত হয়ে কেমোথেরাপি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন সেখানকার চিকিৎসক ডা. আশিষ কুমার দাস।
এতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হবে। অর্থাভাবে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় মেয়েকে নিয়ে গত ১৫ জুন বাড়িতে ফিরে আসেন তারা। মনির বাবা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন দরিদ্র গাড়িচালক। ইতোমধ্যে মেয়ের চিকিৎসায় ধার-দেনা করে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছি। আমি আর পারছি না। এক একটি কেমো ইনজেকশনের দাম ২৮ হাজার টাকা। সমাজের বিত্তবান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাই। ক্যান্সারে আক্রান্ত মনির বাবার এ মানবিক আবেদনে সাড়া দিতে যোগাযোগ করতে পারেন ভুক্তভোগীর নিজস্ব মোবাইল নাম্বারে। মোবাইল: ০১৭৫২৭১১০২৮ (বিকাশ পার্সোনাল), মো. নজরুল ইসলাম (পিতা)।