বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঠাকুরগাঁও কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাজহারুল সম্পাদক ওবায়দুল এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যেখানে নির্বাচন ব্যাহত হতে পারে: মির্জা ফখরুল আটোয়ারী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত লামায় ডেংগু বিষয়ে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত পাবনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ঈশ্বরদীতে ম’শা’ল মিছিল “নকল দুধের ভয়ংকর সাম্রাজ্য, খাঁটি দুধের রাজধানী পাবনা এখন ‘সাদা বিষের’ অন্ধকার জগত” অভয়নগরে কোটি টাকার সার আত্মসাৎ চক্র ধরা, ডিবির অভিযানে আটক ৩ উদ্ধার ২২ লাখ টাকা

প্রেমিককে কাছে না পাওয়ার হতাশায় গলায় রশি বিদিশার

চলনবিলের আলো বিনোদন ডেস্ক:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২, ২:৫৩ অপরাহ্ণ

ভালোবাসার মানুষকে আঁকড়ে জীবনটা কাটাতে চেয়েছিলেন। বাস্তবে সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। না-পাওয়ার যন্ত্রণায় শেষ পর্যন্ত রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন টালিউড মডেল বিদিশা দে মজুমদার। এর কিছু দিন আগে নবীন অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) রাতে অভিনেত্রী ও মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় হলেও তিনি কলকাতার দমদম এলাকায় একটি ফ্লাট ভাড়া করে থাকতেন। পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন তার এক বান্ধবীও। বিদিশা (২১) অভিনয়ের পাশাপাশি চার বছর ধরে মডেল হিসেবে কাজ করছিলেন বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে।

পুলিশ বলছে, গলায় ওড়না পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বিদিশা। তার মৃত্যুর পর স্বজনরা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার জন্য অনুভব বেরাকে দায়ী করছে। মেদিনীপুরের শরীরচর্চার ওই প্রশিক্ষককেই নাকি ভালোবাসতেন মডেল বিদিশা।

তার সঙ্গে থাকতে চেয়ে মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়াও করতেন টালিউডের ওই মডেল। রাগের মাথায় নৈহাটির বাড়ি ছেড়েছিলেন মাঝরাতে। তখন থেকেই কলকাতায় থাকতেন এই তরুণী।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে দুই বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন। এরপর নাগেরবাজারের রামগড় কলোনিতে ভাড়া বাড়িতে।

ত করেও নাকি কোনও দিনই শরীরচচ্চার শিক্ষক অনুভবের মন পাননি বিদিশা। পুরোটাই ছিল তার একতরফা প্রেম। এটা তার বন্ধুরা বুঝতেন। বিদিশা নাকি সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতেন, প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে যাবেন না তো!

মৃত মডেলের বন্ধুর দাবি, মৃত্যুর কয়েক দিন আগেও ফোনে ভেঙে পড়েছিলেন বিদিশা। বলেছিলেন,‘ও শেষ পর্যন্ত আমার হবে তো? ওকে আমি আমার করে পাব তো?’

এই ঘটনা এক দিনের নয়, শেষের দিকে প্রায়ই নাকি ফোনে বন্ধুদের কাছে কাঁদতেন। তারা বোঝাতেন তাকে। সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসার পরামর্শও দিতেন। কারণ, বন্ধুদের দাবি— অনুভব নাকি আরও নারীসঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। এ কথা বিদিশাও জানতেন। তবু তিনি আকর্ষণ এড়াতে পারতেন না।

পল্লবী দে আর বিদিশা দে মজুমদার দুজনেই প্রেমিক অন্তপ্রাণ। দুজনেই গ্ল্যামার দুনিয়ার বাসিন্দা। দুজনেই জন্মসূত্রে উপশহরের মেয়ে। পেশা ও প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিলেন দুজনেই। দুই তরুণীর পরিবার তাদের প্রেমের কথা জানত। পল্লবী-বিদিশা ছিলেন একে অপরের বন্ধুও। দুজনেরই তুমুল ঝগড়া করতেন প্রেমিকের সঙ্গে। আবার সেই প্রেমিক ভালবেসে দু-চারটে ভালো কথা বললেই তারা গলে জেতেন। আর দুজনেই শেষ পর্যন্ত প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অভিমানে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পর বেছে নিলেন!

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর