খুলনায় কর্মরত নৌ বাহিনীর সদস্য পলাশ হোসেন (২৯) প্রথম বিয়ে গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে যশোরের অভয়নগরে নাসরিন খাতুন(৩১) নামের এক মেয়ের সাথে দুই বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেন। প্রতুশ্রুতি দেন বিয়ের দুই মাস পর স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু সেই দুই মাস দুই বছর গড়িয়ে গেলেও স্বামীর বাড়ি যেতে পারেন নি নাসরিন। অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় নাসরিনের বাবার বাড়িতে এসে দেখা সাক্ষাৎ করতেন পলাশ। ইতিমধ্যে নাসরিন ৬ মাসের অন্তঃসত্তা। আর অন্তঃসত্তা হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে নাসরিনের সাথে যোগাযোগ কমাতে শুরু করেন পলাশ। সম্প্রতি গত দুই মাস একেবারেই যোগাযোগ রাখেন না। এমনকি তার ব্যবহৃত ফোনে স্ত্রী অসংখ্যবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী নাসরিন খাতুন। গতকাল সোমবার বিকেলে তার ব্যবহৃত ০১৬২৬-২৮৮২৬০ নম্বরে ফোন করে বক্তব্য চাইলে তিনি প্রথমে নাসরিনকে বিয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, এ নামে কাউকে তো চিনিনা।’ কাবিননামার প্রসংগ টেনে কথা বললে তিনি বলেন, ‘ কোথাও কোন ভুল হয়েছে কিনা, আমি দেখছি।” বলেই ফোনটি কেটে দেন। এদিকে স্ত্রী ও গর্ভে থাকা সন্তানের অধিকার ও বিচারের দাবিতে নাসরিন খাতুন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী স্ত্রী নাসরিন খাতুন যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোবারক সানার মেয়ে। এবং পলাশ হোসেন যশোরের মাণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মোঃ শামছুর রহমান মোল্যার ছেলে। কাবিননামার তথ্যানুযায়ী ২০২০ সালের ২৬ জুন নওয়াপাড়া পৌরসভার বিবাহ ও তালাক রেজিস্টার সুলতান আহমেদ একলাখ টাকা দেন মোহরে রেজিস্ট্রি বিয়ে করান। ভুক্তভোগী নাসরিন খাতুন বলেন, পাঁচাকড়ি গ্রামে বোনের বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে নৌ বাহিনীর সদস্য পলাশ হোসেনের সাথে তার পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেম। দুই বছর প্রেমের সম্পর্কের পর প্রণয়। পলাশ প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে নানা প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করেন তাকে। বিয়ের দুই মাস স্বামীর বাড়ি নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও নানা টালবাহানায় তা দুই বছর পার হয়েছে। ইতিমধ্যে নাসরিন খাতুন ছয় মাসের অন্তঃসত্তা। যা নওয়াপাড়ার এ হামিদ মেমেরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১১ এপ্রিল তারিখে করা আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়াগেছে। যার রেজিস্ট্রেশন কোড নং- ঐঝগ৪২৪৩৫। নাসরিন বলেন, গত দুই মাস যাবৎ আমার সাথে একেবারেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমার ভবিষ্যত সন্তানকে নিয়ে আমি বেকায়দায় পড়েছি। ওযে এত প্রতারক তা বুঝতে পারিনি। আমি ওই প্রতারকের বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, আজ (গতকাল সোমবার) আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি। অভিযোগ দায়ের করেছি।” এ ব্যাপারে নৌবাহিনীর সদস্য পলাশের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করে নাসরিন নামে কাউকে চেনেন না বলে ফোন কেটে দেন।
#CBALO/আপন ইসলাম