ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ পন্ড হয়েছে এবং বিএনপি আওয়ামীলীগ ও পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ বিএনপি’র ৮/১০জন আহত হয়েছে। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সারাদেশব্যাপি বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) এ্যাড. বিলকিস জাহান শিরিন।ঝালকাঠি শহরের চাঁদকাঠিস্থ জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে বিএনপি’র ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে থাকলে প্রথমে পুলিশ বাধা প্রদান করে। সকাল ১১ টার দিকে বিলকিস জাহান শিরিন জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে আসলে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মাঝে একটু চাঙ্গাভাব পরিলক্ষিত হয়। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা এসে ঘটনাস্থল থেকে বিলকিস জাহান শিরিনকে চলে যাওয়ার জন্যে অনুরোধ করেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরই আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের একটি মিছিল কোর্ট রোড দিয়ে অতিক্রম করে বিএনপি’র সমাবেশ স্থলে এসে ধাওয়া দেয়। বিএনপি’র লোকজন ধাওয়া খেয়ে পিছু হটে এক পর্যায়ে সামনের দিকে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এ্যাড. শাহাদাত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ঝালকাঠি স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মো: বাচ্চু হাসান খানকে গ্রেফতার করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাচ্চু হাসান খানকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি শহর বিএনপি’র সভাপতি নাসিমুল হাসান জানান, “বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে করতে ছিলাম। এসময় আ’লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের সমাবেশ স্থলে এসে হামলা চালায়।”
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) এ্যাড. বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, “আ’লীগ ও যুবলীগে আমাদের সমাবেশ স্থলে হামলা চালিয়েছে। দেশে কোন গনতান্ত্রিক পরিবেশ নাই।”
ঝালকাঠির পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিএনপি’র সমাবেশের অনুমতি না থাকায় তাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়া হয় নাই।
ঝালকাঠি জেলা আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির জানান, “ আমি ঢাকায় অবস্থান করায় এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন।”
#CBALO/আপন ইসলাম