রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

নান্দাইলের গাংগাইল ইউনিয়নে বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
আপডেট সময়: রবিবার, ১ মে, ২০২২, ২:১৭ অপরাহ্ণ
ছবি: বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ আবদুল কদ্দুস।
ছবি: বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ আবদুল কদ্দুস।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজী মোঃ আবদুল কদ্দুসের উপর পবিত্র শবে কদরের রাতে বিয়ারা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে একই গ্রামের মৃত বাবর আলীর তিন পুত্র যথাক্রমে আবদুল হাই, আব্দুল আলী,  কালা মিয়া ও কেনু মিয়ার  কর্তৃক প্রকাশ্যে মসজিদের মুসুল্লীদের সামনে হামলা করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানাগেছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আবদুল কদ্দুস বিয়ারা জামে মসজিদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। শবে কদরের রাতে হাফেজদের জন্য আদায়কৃত টাকা তিনি হাফেজদের মাঝে বন্টন করে দিতে চান। এতে করে এই মসজিদের সেক্রেটারী মোঃ আবদুল হাই আদায়কৃত টাকা হাফেজদের অর্ধেক দিয়ে বাকী অর্ধেক টাকা রেখে দেবার চেষ্ঠা করলে মুক্তিযোদ্ধা এতে মত দেয়নি। একে করে আবদুল হাই ও তার ভাই আবদুল আলী মুসুল্লীদের সামনে বীরমুক্তিযোদ্ধাকে কিল ঘুষি মেরে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং কেনু মিয়া প্রকাশ্যে গালাগালি করে। উল্লেখ্য, রিয়ারা গ্রামের বেপারী বাড়ির এই পরিবারটি এলাকায় সন্ত্রাসী পরিবার ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। আবদুল আলীর এক পুত্র মোঃ রুবেল ইয়াবার চালান সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছে। তার নামে ৭/৮টি মামলা চলমান রয়েছে। বিয়ারা গ্রামের হাবিবুর রহমান, দুলাল মাস্টার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্ঠা সহ বেপারী বাড়ির লোকজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এনিয়ে বাড়াবাড়ি করলে গ্রাম ছাড়া করার হুমকী প্রদান করেছে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শনিবার নান্দাইল রোড বাজার এলাকা থেকে নেতৃবৃন্দ বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুর কদ্দুসের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা অবহিত হয়ে আসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল জানান, তিনি ঘটনা শুনে শনিবার রাতে এলাকার ১০/১৫জন নেতৃবৃন্দ সহ মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রকাশ্যে বিচার দাবী করেছেন। নান্দাইল রোড উচ্চ বিদ্যালয়ে অবঃ প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল কাইয়ুম বাবুল, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ঘটনা শুনে শনিবার রাতে বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যান এবং বীরমুক্তিযোদ্ধার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন সহ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। উল্লেখ্য, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজাী মোঃ আবদুল কদ্দুস এলাকায় একজন শান্ত প্রিয় ও নীরিহ মানুষ হিসাবে পরিচিত। তার ২পুত্র সরকারী চাকুরী সূত্রে বাড়িতে না থাকায় এই নীরিহ পরিবারটির উপর ইতি পূর্বেও আরও কয়েকবার হামলা ও হুমকী প্রদান করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আবুল হাসান জানান, তার পরিবার এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত ও ক্ষদ্দ। তিনি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর