আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার পলাতক আসামি বাদশাহ (৪৩)-কে পঞ্চগড়ের বোদা থানা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর আগে গত ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিশু ভিকটিম (৪) বাসা হতে বের হয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় আসামি মো. বাদশাহ (৪৩) ভুক্তভোগীকে চিপস/চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে তার নিজ ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এসময় বিষয়টি পাশের রুমের ভাড়াটিয়া দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগীর মাকে জানালে তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগীর মা আসামির রুমের দরজায় গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করার পর দরজা খুলে।
তখন ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য ঘরে প্রবেশ করলে তৎক্ষণাৎ আসামি বাদশাহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন গত ২৯ মার্চ ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল পুলিশের পাশাপাশি আসামিকে গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সংবাদ ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় জানা যায় আসামি মো. বাদশাহ পঞ্চগড়ের বোদা থানাধীন কাজলদিঘী এলাকায় অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল র্যাব-১৩ এর সহায়তায় রোববার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টায় বোদা থানার কাজলদিঘী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি বাদশাহকে গ্রেফতার করে।
র্যাব আরো জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীসহ তার মা-বাবা আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের কাঁঠাল বাগান এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থেকে বসবাস করতো। এবং গ্রেফতারকৃত আসামি একই বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। গ্রেফতারকৃত মো. বাদশাহ নওগাঁ জেলার স্থানীয় বাসিন্দা।
#CBALO/আপন ইসলাম