যেকোনো সুবিধা-অসুবিধায় নেতাকর্মীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। এজন্য বাড়িতে থাকলে দর্শনার্থীতের ভিড় লেগেই থাকে। তর“ন ও যুবকদের কাছে আপন মানুষ হয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে সহজ-সরল আচার ব্যবহার। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও কৈজরী ইউনিয়নের সফল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে দেশের অন্যতম নাম শাহজাদপুর উপজেলা। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র কাচারিবাড়ী, মিস্কভিটা, ডিপো ও তাঁত শিল্প নগরী হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর।
এই উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে খুব পরিচিত নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ইতিপূর্বে তিনি ৮ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাংস্কৃতিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিরাজগঞ্জ-০৬ (শাহজাদপুর) সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপনের পক্ষে ২০১৪ সালের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্ময়ক হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্বপালন করে বেশ আলোচিত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম। নানা সামাজিক কর্মকান্ডের কান্ডারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত রয়েছে তার। শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলঅমের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন রানা আহমেদ।
কলম সৈনিক : আপনার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কেমন আছেন।
সাইফুল ইসলাম : আলহামদুলিলহ সবাই ভালো আছেন।
কলম সৈনিক : মহামারী করোনা ভাইরাসে শাহজাদপুরবাসীর জন্য কি করেছেন।
সাইফুল ইসলাম : বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতির শুর“ থেকেই কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও বিতরণ করে আসছি। কৈজরী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েক ধাপে চাল, ডাল, আটা, ছোলা, খেজুর, হাত ধোয়ার সাবান বিতরণ করেছি। এছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্নভাবে সমাজের নানা শ্রেণির মানুষকে সহযোগিতা করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর পাশেও দাঁড়িয়েছি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মানুষদের মাঝে কয়েক ধাপে মধ্যবিত্ত, কর্মহীন দুস্থ ও অসহায় বেদে স¤প্রদায়দের মাঝে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছি।
কলম সৈনিক : শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আগামী সম্মেলনে আপনি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী? সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে উপজেলা আওয়ামীলীগকে আপনি কিভাবে সাজিয়ে তুলবেন?
সাইফুল ইসলাম : আমি শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে দলের প্রবীন-নবীন ও ত্যাগী নেতাদের সাথে নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগকে আরো শক্তিশালী করে তুলবো। শাহজাদপুরে মোট ১৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। ১৩টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কেউ কাউকে চেনে না। একজনের তথ্য আরেকজনের কাছে নেই তাই আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে ১৩টি ইউনিয়ন ও প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে একটি সরণিকা গ্রন্থ প্রকাশ করবো এবং প্রতি মাসে পরিচিতি সভার আয়োজন করে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করবো ইনশালাহ।
কলম সৈনিক : দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আপনি কোনো সমস্যার মুখে পরেছেন কিনা?
সাইফুল ইসলাম : কাজ করতে গেলে সমস্যা থাকবেই। যেহুতু নেতৃত্ব দিই, সেহুতু নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবেই। প্রতিযোগিরা অনেক সময় প্রতিহিংসা ছড়ানো, বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করে। এটাকে আমি সমস্যা মনে করিনা-প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখি। এতে করে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পায়। সংগঠনের নেতৃত্ব আরো বৃদ্ধি হয়।
কলম সৈনিক : আপনার দৃষ্টিতে শাহজাদপুরবাসী কেমন আছে?
সাইফুল ইসলাম : আমি মনে করি যে কোনো সময়ের তুলনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকারে সময় শাহজাদপুরের সবাই অনেক ভালো আছেন। এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। প্রতিনিয়তই আমরা নতুন নতুন রাস্তাঘাট পাচ্ছি। আমরা কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতাম। এখন ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে।
কলম সৈনিক : বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি হওয়ার পর থেকে শাহজাদপুরে কি কি উন্নয়ন হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম : আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন দুই দুইবার বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শাহজাদপুর মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। শাহজাদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেক্স, শিশু হাসপাতাল, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, ১২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, হাটপাচির থেকে কৈজরী হয়েক ঘালা পর্যন্ত বাধ নির্মাণ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস ৩০ সজ্জা থেকে ৫০ সজ্জায় উন্নতকারণ, উপজেলা ৬৬ কিলোমিটার নতুন রাস্তা মেরামত ও সংযুনসহ বিবিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন।
কলম সৈনিক : আপনি তো শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সাইফুল ইসলাম : নেতৃত্ব হলো আলাহর দান। আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যানের জন্য। আমি আমার জায়গা থেকে সবসময় মানুষের কল্যানের জন্য চেষ্টা করে থাকি। কল্যানমূলক কাজে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করি। আমার সাধ্যমত মানুষের কাজ করার চেষ্টা করি। আমি আশাবাদী মানুষের কাজ করার ইচ্ছা থাকলে যে কোনো জায়গা থেকে করা যায়। আমি যেখানে আছি সেখান থেকেও কাজ করার সুযোগ আছে। নেতৃত যখন যেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলে তা নিষ্ঠার সাথে পালন করাই আমার সার্থকতা।
কলম সৈনিক : গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?
সাইফুল ইসলাম : গরিব এবং মেধাবী শিক্ষার্থী যারা আছেন তাদের ব্যাপারে আমি সব সময়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। শিক্ষার্থী বা অভিভাবকেরা যখন কোনো সমস্যা নিয়ে আসেন, আমি চেষ্টা করি শিক্ষার ব্যাপারে চেষ্টা করতে। অর্থের অভাবে কারো পড়ালেখার অসুবিধার কথা আমাকে বললে আমি তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিত করি এবং তা করেও যাবো।
কলম সৈনিক : তর“ণ ও যুব সমাজের জন্য আপনার কিছু বলার আছে?
সাইফুল ইসলাম : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের যুব শক্তি, যুব সমাজের প্রতি বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেছিলেন। তর“ন ও যুব সমাজের প্রতি গুর“ত্ব দিয়েছিলেন। আমাদের মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আমরা যদি সমাজটাকে মাদক মুক্ত করতে পারি, যুবকদের যদি মাদকমুক্ত করতে পারি তাহলে আমরা এদেশটাকে অনেক কিছু দিতে পারবো। উদ্যোক্তা হয়ে বেকার যুবকদের কে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারব। এই দেশটাকে সত্যিকার অর্থেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
কলম সৈনিক :: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
সাইফুল ইসলাম : আপনাকেও ধন্যবাদ।