মোঃ আব্দুর রহিম বিশেষ প্রতিনিধি ভাঙ্গুড়া:
পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ২০২০-২০২১ ইং অর্থ বছরের বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। এটি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ২১তম বাজেট। পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষনা করেন। দেশে করোনা ভাইরাস প্রদূর্ভাবের কারণে জনসমাগম না করে অনলাইনের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জানানো হয় পৌরসভার বিভিন্ন রাজস্ব খাতে প্রস্তাবিত আয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে প্রস্তাবিত আয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। পৌরসভার রাজস্বা, উন্নয়ন ও প্রকল্প খাতে প্রস্তাবিত সর্বমোট আয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পৌরসভার বিভিন্ন রাজস্ব খাতে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ২ শত ৯৪ টাকা ও পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। পৌরসভার রাজস্বা, উন্নয়ন ও প্রকল্প খাতে প্রস্তাবিত সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ২শত ৯৪ টাকা। পাশাপাশি পৌরসভা রাজস্বা খাতের সমাপনি স্থিতি দেখোনো হয়েছে ৮ লাখ ৭ হাজার ৭শত ৬ টাকা।
বাজেটে উন্নয়নমূলক, স্যানিটেশন, পৌরসভা আলোকিতকরণ, পৌর এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ডাসবিন স্থাপন, পৌর এলাকায় পনি সরবরাহ এবং মাদক মুক্ত পৌরসভা গঠনসহ জনকল্যাণ মূলক কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় কমিয়ে বাস্তবমূখী করা হয়েছে।
পৌরসভার সচিব উত্তম কুমার বলেন,পৌরসভার জনকল্যাণ সাধন, নাগরিক সুবিধা ও উন্নয়নমূলক কাজসহ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
পৌর সভার হিসাবরক্ষক নাজমুল হুদা কালু বলেন, সারাদেশের করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মেয়রের নির্দেশে স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখেই এবারের বাজেটে অনলাইনে পেশ করা হয়েছে।ভাঙ্গুড়ার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই বাজেটকে বাস্তবমুর্খী ও জনকল্যাণকর বাজেট বলে আখ্যা দিয়েছেন ।
এবিষয়ে মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, পৌর এলাকার প্রধান সড়ক সংষ্কার ও উন্নয়নের কাজ এরই মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে ও প্রধান ড্রেনেজের কাজও শেষ পর্যায়ে। আবার পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মধ্যের ছোট ছোট রাস্তার কাজও অনেকাংশে শেষ হয়েছে। আগামীতে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মধ্যে বাকী রাস্তাগুলি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা পৌর এলাকা সৌন্দর্য্যবর্ধনে আলোকসজ্জা নির্মাণকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।