সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাটে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেড়ে প্রতিপক্ষের ওপরে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কামারখন্দ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ভুক্তভোগী হাফিজুল ইসলাম আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযোগ তুলেছেন তাদের প্রতিপক্ষ পার্শ্ববর্তী শামসুল ইসলাম ও তার ছেলে-মেয়েদের প্রতি। তবে নিক্ষেপ করা কেমিক্যাল আসলেই এসিড কি-না এটা নিশ্চিত করতে পারেননি কেও।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পরে ভুক্তভোগীর বাড়ির পাশেই এই এসিড (কেমিক্যাল) নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নিজেই।
ভুক্তভোগী হাফিজুল ইসলাম জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের মেঘাই ভদ্রঘাট গ্রামের মৃত ওসমান শেখের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমি মাঠে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় পার্শ্ববর্তী শামসুলের প্রবাসী ছেলে নাজমুল, তার ছোটভাই নাসির উদ্দীন ও তাদের ভাগিনা রাব্বী মিলে অতর্কিতভাবে আমার ওপরে এসিড ছোড়ে। এসময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল নাজমুলের বোন শেফালী। এসিড ছুড়ে দিয়েই তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আহত হাফিজুল ইসলামের ভাবি (বড়ভাইয়ের স্ত্রী) মোছা. হাফিজা বেগম বলেন, জমিজমা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এরপর গত রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে শেফালির নেতৃত্বে তারা আমাদের ওপরে আক্রমণাত্মক হয় ও হুমকি দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা তখন পালিয়ে অন্য স্থানে চলে যাই এবং দুপুর পরে আবার বাড়িতে ফিরে আসি। সেই জেড়েই এই এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
হাফিজুলের স্ত্রী মোছা. শাহনাজ বেগম বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জমিতে পানি দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির নিকটে এসে হঠাৎ তার চিতকার শুনে এগিয়ে যাই। যেয়ে দেখে সে মাটিতে পড়ে আছে ও তার পা পুড়ে গেছে। আমরা তাকে তাতক্ষনিক উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামীম জানান, পায়ে কেমিক্যাল জাতীয় কিছু নিক্ষেপের কারনে এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সেটা এসিড কি-না সেটা পরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছেনা।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এমন একটি অভিযোগ এসেছে এবং তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তারা সম্পর্কে সৎ ভাই এবং তাদের নিজেদের মধ্যে জমি জমা নিয়ে বিরোধ আছে। তবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ঘটনার কতটুকু সত্যতা আছে।
#চলনবিলের আলো / আপন