সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

প্রাকৃতিক উপায়ে  ঠান্ডা-কাশি-সর্দি প্রতিরোধের উপায়

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:১৯ অপরাহ্ণ

আবহাওয়া বদলের বিষয়টি নিশ্চয়ই টের পাচ্ছেন। এর সঙ্গে ঠান্ডা ও সর্দির প্রকোপ বেড়ে যায়। ঠান্ডা লাগা ও সর্দি থেকে দূরে থাকতে আগে থেকেই সাবধান থাকতে হবে। অনেকের ধারণা, বেশিক্ষণ ঠান্ডায় থাকলে বা পানিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগে, সর্দি হয়। যদিও এসব রোগের প্রধান কারণ ভাইরাস, তথাপি বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে।
মেডিসিন বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেসব এনজাইম আছে, তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রায় কম কার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। শীতে বাতাসের তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্রতাও কমে যায়, যা আমাদের শ্বাসনালির স্বাভাবিক কর্মপ্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে ভাইরাসের আক্রমণকে সহজ করে। ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশির শুরুতে গলা ব্যথা করে, গলায় খুসখুস ভাব দেখা দেয়, নাক বন্ধ হয়ে যায়, নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি ঝরতে থাকে এবং হাঁচি আসে। ক্রমান্বয়ে মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়। হালকা জ্বর ও শুকনা কাশিও হতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
প্রাকৃতিক উপায়ে  ঠান্ডা-কাশি-সর্দি প্রতিরোধের উপায়সমূহ-
♦গোল মরিচ: গোল মরিচ সর্দি-ঠান্ডা রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ জন্য প্রথমে এক গ্লাস হালকা পানি নিতে হবে। তারপর মধ্যে এক চা চামচ গোল মরিচগুড়োর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে। গোল মরিচের দানাগুলো গ্লাসের নিচে জমা হলে ঐ পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে। এতে খুব তাড়াতাড়িই ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাবেন।  অর্থাৎ সর্দি, কাশি ও হাঁচি এসকল সমস্যা থেকেই খুব সহজে মুক্তি মেলবে।
♦লবঙ্গ: শীতের হাওয়া শরীরে ও মনে নাচন ধরিয়ে দিচ্ছে বলা যেতেই পারে। শীত মানেই পিকনিক, ঘুরে বেড়ানো সেই সঙ্গে শীত মানেই ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা  খুসখুসে কাশি হওয়া। এ ঠান্ডা লাগার হাত থেকে লবঙ্গ বাঁচাতে পারে। এ জন্য কয়েক টুকরো লবঙ্গ নিতে হবে। সেগুলো পানিতে লবণসহ জ্বাল দিতে হবে। এ পানি হালকা গরম থাকতেই খেয়ে নিন। এছাড়াও আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে। কিছু লবঙ্গ ও আদা পানিতে মিশিয়ে গারগল করতে পারেন। যারা গারগল করতে পারেন না তারা লবঙ্গ ও আদা মিশ্রিত পানি হালকা গরম থাকা অবস্থায় খেয়ে নিতে পারেন। কারণ এ পানিতে কোনো পার্শ্ব পতিক্রিয়া নেই।
♦আদা: এখন রাস্তায় বের হলেই হালকা ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগে। একটু হালকা শীত শীতও করে। ঘরের মধ্যে ফ্যান চালালে ঠান্ডা লাগে ও ফ্যান বন্ধ করে দিলে গরম লাগে। এ ধরণের সমস্যা প্রত্যেকেরই হচ্ছে। এ কারণেই এ সময় ঠান্ডা লাগে, গলার মধ্যে চুলকানির ভাব হয়, কাশি ও সর্দি হয়ে থাকে। তাই এ ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে। এছাড়াও আদা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। ঠান্ডা লাগলে একটু আদা চা খেলে ভালোই লাগে। এতে গলার খুশখুশে ভাব অনেকটাই কেটে যায়। প্রচীন কাল থেকে ঠান্ডা, জ্বর , কাঁসি ও মাথা ব্যথার জন্য আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা চা গলার কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। গলার মধ্যে কফ জমে থাকলে অনেক সময় শ্বাসকষ্টও হয়। এর হাত থেকে রক্ষা করতে আদা চা ভীষণভাবে সাহায্য করে। এর সঙ্গে গলার খুসখুসে ভাবও কমে যায়। এছাড়াও আদার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনে তিন বার খেলে খুবই উপকার পাবেন। খুশখুশে কাঁসি খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে। আমরা অনেক সময় ঠান্ডা লাগলে আদা লবণ দিয়ে কুচি কুচি করেও খেয়ে থাকি।
♦মধু: ত্বকের পাশাপাশি শরীরের জন্যও এ মধু খুবই উপকারি। গলার খুশখুশে ভাব কমিয়ে খুব সহজে আরাম দিতে পারে মধু। মধু নিজেই যেহেতু গরম তাই এটি ঠাণ্ডা দূর করতেও খুবই কার্যকরী। হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন বা আঙ্গুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, এছাড়াও চায়ের চিনির বদলেও মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। বয়ষ্করা মধুর সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়েও খেতে পারেন। যা ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধে খুবই ভালো কাজ করে।
কালজিরাঃহাদীসে আছে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ হিসাবে কাজ করে কালজিরা।নিয়মিত এক চামচ মধুর সহিত হাফ চামচ কালজিরা সকালে বিকালে সেবন করলে অসাধারণ ফলাফল পাওয়া যাবে এছাড়াও শুধু কালজিরা খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।
 লক্ষণগুলি অতি মাত্রায় দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
লেখকঃ
ডা.এম.এ.মান্নান
প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজিং ডিরেক্টর 
মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র.
নাগরপুর, টাংগাইল।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com