বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

চৌহালীর দিগন্তজুড়ে সরিষা আবাদে হলুদের সমারোহ

মাহমুদুল হাসান, চৌহালী সিরাজগঞ্জঃ
আপডেট সময়: বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

সরিষা ফুলের সমারোহে হলুদাভ হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কৃষি মাঠগুলো। দিগন্তছোঁয়া সরিষা ফুলের হলু চাদরে মোড়ানো  বর্ণে বদলে গেছে চৌহালীর রূপ।
কৃষকরা আশা করছেন এবার বাম্পার ফলনের। এ কারণে কৃষকরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে মাঠে।  কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। এ বছর উপজেলা অঞ্চলের প্রায় ৩০০ শত হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।
উপজেলার  মাঠগুলো ভরে উঠেছে হলুদ বর্ণের সরিষা ফুলে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা আবাদে তেমন কোনো পোকার আক্রমণ না থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন। সবাই বলছে তুলনা মূলক ভাবে এ বছর সরিষার আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। তা ছাড়া সময়মতো সার-কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সরিষার আবাদ করতে কৃষককে বেগ পেতে হচ্ছে না। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আগেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। চৌহালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ  জানিয়েছেন, এ বছর উপজেলায় ৪ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের কৃষক শাহ আলম বলেন, জমি থেকে দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাওয়ার কারণে আগাম সরিষার চাষ করা সম্ভব হয়েছে। আঃ খালেক বলেন, একসময় কৃষকরা শুধু ইরি-বোরোর মতো এক ফসল আবাদ করে  শত শত হেক্টর জমি পতিত রাখত। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের কৃষকদেরও চাষ পদ্ধতিও অনেক উন্নত হয়েছে। কৃষকরা বিগত দেড় যুগ ধরে ইরি বোরো, আমন, ভুট্টা ও সরিষার আবাদে ঝুঁকছে।
গত কয়েক বছর ধরে বন্যার পানি দ্রুত মাঠ থেকে নেমে যাওয়ার ফলে সরিষার আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানান। চৌহালী উপজেলায় উমারপুর ইউনিয়নে হাপানিয়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, সময়মতো বীজ ও সার পাওয়ায় এবং বন্যার পানি যথাসময়ে নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলে ব্যাপক হারে সরিষার আবাদ হয়েছে। তা ছাড়া এ বছর সরিষার গাছ যে সুন্দর দেখা যাচ্ছে তাতে ঘন কুয়াশা ও খুব বেশি শীত না পড়লে এবং কীটপতঙ্গের আক্রমণ না হলে সরিষার আশাতীত ফলন হবে। ৬৫ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে খুব অল্প পরিশ্রমে সরিষা ঘরে তোলা সম্ভব।
চৌহালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন, এ বছর কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠক করা হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমণ হলে কী করণীয় সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে।  তা ছাড়া কর্মকর্তারা সবসময় মাঠ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন। আবহাওয়া অনুকূল কিছুটা বিগ্ন হলেও  নিঃসন্দেহে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে এবং কৃষককের মুখে হাসি ফুটবে ইনশাআল্লাহ। 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর