সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের অসময়ে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এসংবাদ পেয়ে যমুনা পাড়ের ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন যায়গায় পরিদর্শন করেন টাংগাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সোলায়মান ভূইয়া।
সময় অসময়ে নদী ভাঙনে চৌহালী উপজেলাকে পুর্ব-পশ্চিম দুই ভাগে বিভক্ত করেছে যমুনা নদী। ৭ ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন প্রায় সম্পূর্ণই নদীর মাঝখানে চর হয়ে আছে। খাষকাউলিয়া, খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের অবস্থান যমুনার পুর্ব পারে।
গত কয়েক বছরের অব্যাহত নদী ভাঙনে এ তিনটি ইউনিয়নের বেশ কিছু ওয়ার্ড যমুনায় বিলীন হয়েছে। গত কয়েক বছর আগে ৫ কি.মি. এলাকা বেড়িবাঁধের আওতায় আসলেও এখনো অরক্ষিত দক্ষিণের আরও প্রায় ৫ কি.মি. এলাকা। গত দুই বছরে উপজেলার দক্ষিনাঞ্চল রক্ষায় নদী ভাঙনের সময় কিছু জরুরী জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয় যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তবে যে সব স্থানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছিল তার বেশিরভাগ যায়গা বন্যার তীব্র স্রোতেও টিকে ছিলো কিন্তু পানি কমার সাথে সাথে জিও ব্যাগ গুলো ধ্বসে যেতে শুরু হয়েছে। খবর পেয়ে টাংগাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সোলায়মান ভূইয়া পরিদর্শনে আসেন চৌহালী ।
শুক্রবার ২০ নভেম্বর বিকেলে তিনি উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ পাকা রাস্তার মাথা থেকে নৌকা যোগে চরবিনানই পর্যন্ত নদী ভাঙনের চিত্র ছবি ও ভিডিও করে নিয়ে যান। এলাকা বাসির দাবি শুকনো মৌসুমে মিটুয়ানি থেকে ভুতের মোড় পর্যন্ত ৬’ শ মিটার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হলে রেহাই পাবে লক্ষাধিক পরিবার । এছাড়াও বেরীবাধ প্রস্তাবিত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। আমরা সরকারের ত্রাণ ও সাহায্য চাই না বেশী বাধ দেখতে চাই। পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জরুরী ভিত্তিতে কয়েক’শ মিটার জিও ব্যাগ ডাম্পিং প্রকল্পের জন্য সুপারিশ করবো। পরিদর্শন কালে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু দাউদ সরকার, ইউপি সদস্য মোঃ রবিউল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য শুকুর মাহমুদ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#চলনবিলের আলো / আপন