বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা গেলেই কমবে নারী নির্যাতনের ঘটনা। কারণ একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা কখনও স্বামীসহ তার সংসারের সদস্যদের মনজয় করে চলতে পারে না। এজন্য বাল্যবিয়ে পরবর্তী দাম্পত্য কলহ থেকেই শুরু হয় নারী নির্যাতনের ঘটনা।
একইসাথে বাল্যবিয়ে পরানোর অভিযোগে বিয়ের কাজী কিংবা বর ও কনে পক্ষের যেমন জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে, তেমনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের প্রধান বাঁধা নোটারী পাবলিকের সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন বক্তারা।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবেলায় মিডিয়া পার্সনদের ভূমিকা শীর্ষক এ্যাডভোকেসি সভা সোমবার সকালে বরিশাল নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়। ওইসভায় নারী ও শিশু নির্যাতন মোকাবেলা এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ও করনীয় বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। সভায় বক্তারা নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহের কুফল এবং শাস্তির বিষয়ে লেখা প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
উন্নয়ন সংস্থা আভাস ও কোয়ালিশন মেম্বারদের আয়োজনে ইউএনডিপি’র অর্থায়নে নগরীর আলেকান্দা আমির কুটির লেনের আভাসের প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার বরিশালের স্টাফ রিপোর্টার খোকন আহম্মেদ হীরা। আভাসের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সঞ্জয় বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন আভাসের ডাইরেক্টর প্রোগ্রাম কর্মকর্তা এসএম সিরাজুল ইসলাম।
আভাসের অর্থ ও প্রশাসন পরিচালক মোঃ আতিক হাসান, প্রজেক্ট অফিসার নাসরিন খানম এবং মোঃ আলী আহসানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন, সুমাইয়া জিসান, প্রবীর বিশ্বাস ননী, মোস্তফা কামাল, ইলিয়াস শেখ, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বরিশাল সদর, আগৈলঝাড়া, গৌরনদী, বানারীপাড়া, হিজলা ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।