এম ইদ্রিস আলী সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
তিনি নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি না । তবে তিনি জনগনের কাছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির থেকেও বেশি আস্থা আর ভালোবাসা অর্জন করেছেন। হাঁকে-ডাকে সবসময় সাধারণ জনগনের পাশে থেকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন ক্লান্তিহীনভাবে। এলাকায় তিনি গরিবের বন্ধু নামে পরিচিত। স্থানীয় কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে জনগণ তাকে স্মরণ করেন, কারন তারা জানেন তার কাছে গেলে একটা সুরাহা হবে। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন আশাশুনি উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ঢালী মো. সামছুল আলম। ৯০’ র দশকের আগে থেকে তিনি জনসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন ছাত্র থাকাকালীন সময়ে। তিনি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বর্তমান সাতক্ষীরা – ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের একনিষ্ট, আস্থাভাজন ব্যক্তি।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের নেতৃত্বে আশাশুনিতে করোনা-আম্পান পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিটা মুহূর্ত্য জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু শম্ভুজিৎ মন্ডলের সাথে একযোগে কাজ করে চলেছেন। ঢালী মো. সামছুল আলম নব্বয়ের দশকে আশাশুনি কলেজ বর্তমানে আশাশুনি সরকারি কলেজের সভাপতি ছিলেন। এরপর একে একে আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক (১৪ বছর) সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশাশুনি উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। রাজনৈতিক দল ছাড়াও তিনি আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসার সাথে সম্পৃক্ত আছেন। ঢালী মো. সামছুল আলম বর্তমানে সদরের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের টানা ২০১২ সাল থেকে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। আশাশুনি সদরের ঐতিয্যবাহী সংগঠন “নবারুণ সংগঠনের” সভাপতি, সদরের এতিমখানা জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে সর্বদা জনসেবায় কাজ করে চলেছেন। দেশের দুর্যোগপূর্ণ সময়ে উপজেলাবাসী ও ইউনিয়নবাসীকে করোনা বিষয়ে সচেতন করতে ও কর্মহীন ঘরে থাকা পরিবার গুলোর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিন-রাত কাজ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন ঢালী মো. সামছুল আলম।
দেশে করোনা প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়ার সাথে সাথেই সরকারি নির্দেশনানুযায়ী প্রথমেই জনসচেতনতা সৃষ্টি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে যার যার ঘরে অবস্থান করার জন্য তার উপজেলা ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতামূলক প্রচার- প্রচারণা চালিয়েছেন অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির সাংসদ প্রতিনিধি ও আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু শম্ভুজিৎ মন্ডলের সাথে। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি প্রচার-প্রচারণার জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছেন এবং প্রবাস ফেরত বাড়ীর মানুষদের হোম কোয়ারাইন্টাইন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া সহ ওই সব বাড়ীতে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়ে ও ষ্টিকার লাগিয়ে অন্য জনসাধারণকে ওই সব বাড়ীতে যাতায়াত না করার আহবান জানিয়েছেন। এ ছাড়াও গ্রাম মহল্লা, মসজিদ- মন্দির, স্কুল, কলেজ, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবস্থাও করছেন অনেক জায়গায়। অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির নেতৃত্বে মানুষদের নিরাপত্তার জন্য মাক্স বিতরণ করেছেন। এলাকায় জনসমাগমকে নিরোৎসাহিত করতে নিরলসভাবে প্রতিদিন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে চলেছেন। এলাকার কর্মহীন ঘরে থাকা মানুষদের মধ্যে কেউ যেন অনাহারে না থাকে সে জন্য সকলের খোঁজ-খবর রাখছেন। সরকারী সহায়তার আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ সবাইকে আনতে না পারায় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও বিভিন্ন পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।
নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনস্বার্থে প্রতিদিন কাকডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে জনগনের খবর নিচ্ছেন। তিনি সবসময় কোন গ্রামে কারোর মৃত্যুর সংবাদ পেলেই ছুটে যান জানাজায় অংশ নিতে। ঢালী মো. সামছুল আলমের জনহিতকর কর্মকান্ড এলাকায় ব্যাপক প্রসংশা কুড়িয়েছে। আশাশুনির বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ বলতে শুরু করেছেন প্রতিটি জনপ্রতিনিধি যদি ঢালী মো. সামছুল আলমের মত হতেন তবে বাংলাদেশ সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিণত হত। ঢালী মো. সামছুল আলম- এ প্রতিবেদককে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সফর সঙ্গী হিসাবে আশাশুনি উপজেলার ১১টা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক স্যারের পক্ষে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, ফ্রি ওষুধ বিতরণ, সুপেয় পানির সরবরাহ, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পানি বন্দি মানুষদের মুক্ত করতে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের একাধিক ভাঙ্গনে স্থানীয় জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বেচ্ছাসেবক বাঁধ নির্মাণ, পানি বন্দি মানুষের প্রতিদিন সুপেয় পানির ব্যবস্থা, শুকনা খাবার, স্যালাইন বিতরণ করেছেন। সদরের মানিকখালি, জেলেখালি, দয়ারঘাট, উত্তর বলাবাড়িয়া,মধ্যম বলাবাড়িয়া , দক্ষিণ বলাবাড়িয়া সহ ১০ থেকে ১২টি পয়েন্টে স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে কাজ করেছেন।
সরেজমিনে আশাশুনির বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢালী মো. সামছুল আলম আশাশুনি সদর ইউনিয়নে এই দুর্যোগের মধ্যে জনগনের জন্য যে কাজ করেছেন তা অন্য কেউ করেনি। বিশেষ করে পুঁইজালা, বলাবাড়িয়া, নাটানা, হাড়িভাঙ্গা এলাকার মানুষেরা বলছেন ঢালী সামছুল আলম যদি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পরপরই সহযোগিতা না করতো তাহলে হয়তো আমরা আজ ঘরছাড়া হতাম। বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের জল ঘরে ঢুকতো। তারা বলছেন আমরা এরকম একজন মানুষকে পেয়ে খুশি। যিনি সবসময় হাঁকে -ডাকে আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।