প্রকৃতিতে বইতে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। তাই শীতকে কেন্দ্র করে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে কৃষকেরা তাদের পতিত জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে লাউ, শিম, কপি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লালশাক, মসা ইতোমধ্যে উপজেলার হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতে নানা প্রকারের শাক সবজি। স্থানীয় বাজারে আগাম জাতের শাকসবজি বিক্রিতে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা।
কৃষকের জানান, বর্তমানে স্থানীয় হাট বাজারে প্রতি পিস লাউ ২০-২৫ টাকা, প্রতি কেজি করলা ৫০-৫৫ টাকা, শিম ৬০-৭০টাকা, বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০-৩৫ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাছা প্রতি পিস ফুল কপি ২৫-৩০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় আর যথাযথ পরিচর্চার কারনেই আগাম জাতের শীতের সবজিতে এ সফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। তবে কয়েক দফা বৃষ্টিপাত হওয়ায় সবজি চাষের কিছু ক্ষতি হলে বিক্রিতে বেশ ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা খুবই খুশি।
উপজেলা সারুটিয়া, মাজপাড়া, খিদিপুর, দেবোত্তর, ধলেশ^র, বেরুয়ান, পারসিধাইসহ বেশ কিছু এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবজি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এসব এলাকার কৃষক মৌসুম বেঁধে বারো মাসই সবজি আবাদ করছেন। কেই নিজের পতিত জমিতে, আবার কেউ বাড়ীর আঙ্গিণায়, কেউ আবার বাড়ীর ছাঁদে। বেশির ভাগই কৃষি অফিসের পরামর্শে এ সকল চাষ আবাদ করছেন তারা।
উপজেলা মাজপাড়া এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, আমি সোয়া বিঘা জমিতে কপি চাষ করেছি। আশা করি সব খরচবাদে আমার ভালো লাভ হবে বলে তিনি আশাবাদি। বিশ্রামপুর গ্রামের দুলাল মৃর্ধা জানান, আগাম জাতের শীতের সবজি লাউ শিম লালশাক ,মুলার শাক এলাকাতে ভালো আবাদ হয়েছে। তবে কিছু কিছু কৃষকেরা ইতোমধ্যেই সবজি বিক্রি শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রকার কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে দেশি পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করছি।