পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় শিমের বাম্পার ফলন। শিম চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি শিমের দাম ৬০/৭৫ টাকা। একবিঘা জমিতে খরচ বাদে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা ঘরে তুলে নিচ্ছেন এলাকার শিম চাষিরা। বর্তমানে অটোশিম, চকলেট শিম, রুপবান শিমসহ নানান জাতের শিম চাষ শুরু করেছেন কৃষকেরা। বর্তমানে দামও ভাল, ফলন ভাল হয়েছে।
শিম চাষিরা দৃলাল মৃর্ধা বলেন, আমি সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে শিম আবাদ বরেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে শিম বাজারে বিক্রি করছি। তাতে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আমার শিম চাষ আবাদ করা দেখে এলাকায় এখন অনেকেই অটোশিম, রপবানশিম, চকলেট শিমসহ নানান জাতের শিম চাষে ঝঁকছেন। যা এলাকায় চোখে পড়ার মতো। এবছর আমি অটোশিমের বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি। তাই আমি প্রতি বছর এই শিম বিক্রি করে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা শিম বিক্রি করি। এবছরও আমি ফলন দামের প্রতি আশাবাদি।
ব্যাপারি ইমরান হোসেন, আব্দুল আলিম, আব্দুল রাজ্জাক, কাসেম নজরুল বলেন, আমরা প্রতিদিন ভোরে মাজপাড়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে শিমের আড়ৎ বসিয়ে এলাকার কৃষকের কাছ থেকে অটোশিম, রুপবান শিম সহ নানা জাতের শিম ক্রয় করছি। প্রতি কেজি শিম আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এতে প্রতিমণ শিম ৪ হাজার থেকে ৩৮শ টাকায় কিনতে হয়। এই শিম আমরা দেশের বিভিন্ন বাজারে ট্রাক বোঝাই করে বাজারজাত করছি। সব খরচবাদে আমাদের ভালো একটা লাভ থেকে যায়।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ বলেন, অটোশিম মুলত শীতকালীন সবজি। তবে এখন সারাবছর এর চাষাবাদ হচ্ছে। আটঘরিয়া উপজেলায় বর্তমানে পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। ১৭০৭ হেক্টর জমিতে গত বছর শিমের আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১৬৫০ হেক্টর। তবে এই উপজেলার অধিকাংশ কৃষক শিম আবাদের সাথে অতপর ভাবে জড়িত।
শিম উৎপাদন বৃদ্ধি করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সব সময় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ভালোভাবে বর্ষা মৌসুমে অটোশিম ও রুপবানশিম, চকলেট শিমের বীজ সংগ্রহ করতে পারলে আগামীতে এজাতীয় শিমের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, অটো ও রুপবান শিম চাষে খরচ তুলনামূলক ভাবে বেশি হলেও এ-শিমের বাজার দরও বেশি। ফলে কৃষকরাও অটোশিমে চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।