এম এস শবনম শাহীন:
সিনেমা হল খুলে দিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির আবেদনের জবাবে বাংলাদেশ প্রদর্শক সমিতির প্রশাসক বলছেন, এখনই সিনেমা হল খুলে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ প্রদর্শক সমিতির প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল জানান, ঝুঁকি এড়াতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সিনেমা হল খুলে দেওয়া হবে না। করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে ১৮ মার্চ থেকে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে; সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ঈদুল ফিতরেও সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়।
সিনেমা হলের হলের সঙ্গে প্রায় আড়াই মাস ধরে চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধ থাকার পর ৫ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং, এডিটিংয়ে ফিরেছে ঢালিউড। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনও দাপ্তরিক ও শুটিং ফ্লোর খুলে দিয়েছে। হল বন্ধ থাকায় বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তি দেওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমা হল খুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির তরফ থেকে। তবে হল মালিকদের তরফ থেকে কোনো আবেদন জানানো হয়নি বলে জানান বাংলাদেশ প্রদর্শক সমিতির প্রশাসক।
সিনেমা হলের মালিক কাজী শোয়েব রশীদ বলেন, “আগে জীবন তারপরে বিনোদন। সিনেমা হল বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসায় লস হলেও সরকার সিদ্ধান্ত জানানো আগে আমরা সিনেমা হল খুলছি না।” হল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় নির্বাচন স্থগিত করে আবদুল আউয়ালকে প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ফের নির্বাচনে আগ পর্যন্ত কার্যত নেতৃত্বশূন্য হল মালিক সমিতির দেখভালের দায়িত্বে আছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ উপসচিব। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে হল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে গত ১৮ মার্চ থেকে সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।