মৃত্যু এমন একজন মেহমান যাকে ফিরিয়ে দিতে কোনও জীবন্ত প্রাণী পারেনা।মানব জীবনে জন্ম নেয়ার পরে, এই জীবন,দেহ নিয়ে মানুষ গৌরব করে, মানুষ জন্মের পরে তিন ধাপে, মানুষের জীবন শেষ হয়, শিশু কাল, যৌবন কাল, বৃদ্ধ কাল, এই তিনটি সংমিশ্রণে একটি মানব দেহের সমাপ্তি হয়। পার্থিব জীবনে একজন মানুষের চাওয়া,পাওয়া, আশা করা, শেষ হয়না, অল্প সময় মানুষ জীবন পেয়ে মৃত্যু আসবে, সে কথাটি ভুলে যায়, যে কারনে মানুষ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। মহান আল্লাহুকে ভয় করার তাগিদ দিয়েছে, আল্লাহু নিজেয়, যে আল্লাহু, মানব জীবনে চলার জন্য,বেঁচে থাকার সব উপকরণ সৃষ্টি করেছেন, মানুষের আয়ু নির্ধারিত করে দিয়েছেন, যে আয়ুর একটি সময়,দিন,মাস,বছর,তথা মিনিট,সেকেন্ড, লিপিবদ্ধ, যার চুল পরিমান, নিয়মের পরিবর্তন হবেনা। মানব দেহ,যখন মৃত্যু হবে, কবরে স্থান হলে,সে দেহ পচে গলে মাটির সঙ্গে বিলিন হয়ে যায়, কিছু দিন বাদে,সে দেহের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না। মৃত্যুর পরের জীবন মানুষের কি হবে, তা কল্পনায় আনাও সম্ভব নয়,একটি দেহ বেঁচে থাকা অবস্থায়,এই পৃথিবীতে, সুন্দর দেখায়, মৃত্যুর পরে সে দেহের হিসাব বা পরিধি নির্ধারণ করেন,একমাত্র আল্লাহু, তিনি যদি মুক্তি দেন তবে হয়তো মানব দেহ, ছাড় পাবে, এই ছোট জীবন পাওয়ার পরেও এই মানুষ কতটা বিবেকহীন ভাবে জীবন কাটায়। সম্পদ, দরকার অর্থ দরকার,ক্ষমতা দরকার, হাজার কোটি মানুষের সন্মান দরকার, এই যগতে, কি ভাবে,খুন রক্তপাত,অসহায় মানুষের প্রতি নিজের কর্তৃত্ব জাহির করা। এই সব নিয়ে মানুষের দিন পার হয়, অর্থচ একটু পরে চলে যেতে হতে পারে,একথাটি মানুষ মনেও করেনা।
হ্যা হতে পারো এই যগতের বাতশা,রাজ্য পেয়ে,অহংকারে ক্ষমতার জোরে হয়তো,নিন্ম শ্রেনীর মানুষর,প্রতি জুলুম করা যায়,লক্ষ কোটি মানুষের স্যালুট আসা করা যায়, রক্তপাত করে, জীবনকে সুন্দর করে সাজানো যায়,কিন্তু মৃত্যু যখন আসবে বাদশার দরজায়, তখন এমন ক্ষমতা বাদশার নেই মৃত্যুকে ফিরিয়ে দেয়া যায়। মৃত্যুর পরে কোথায় রবে, বাদশাহী ক্ষমতা,কোথায় রবে,ক্ষমতার অহংকার,কোথায় রবে,দামী গাড়ি দামী বাড়ি,কেউ জানেনা,পৃথিবীতে এমন ক্ষমতা কারো আছে, যে গাছে ফল ধরিয়ে তার ইচ্ছেতে সে ফলটি পেকে যাবে। হে মানব মৃত্যুকে ভয় করো আল্লাহুকে বুকে ধারন করো, এই পৃথিবীতে আমি তুমি সবাই দুইদিনের মেহমান।
#চলনবিলের আলো / আপন